১ টন Ac কেনাকাটা
বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যাপাসিটির এসির মধ্যে ১-টন এসি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের বেশিরভাগ অফিস রুম বা ফ্ল্যাটের রুম গুলো ছোট ও মাঝারি সাইজের হয়ে থাকে যা ১-টন এসি সহজেই ঠাণ্ডা করতে পারে। বেশী ক্যাপাসিটির এসির তুলনায় ১-টন এসি সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায় এবং ১-টন এসি ব্যবহারে মাসিক বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। বর্তমানে বিডিস্টল.কম থেকে গ্রী, মিডিয়া, জেনারেল, শাওমি, ভিশন, হাইয়ার, সিঙ্গার, স্যামসাং, ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ১-টন এসি কম দামে সংগ্রহ করা যাবে।
বাংলাদেশে ১-টন এসির দাম কত?
বাংলাদেশে নতুন ও পুরাতন উভয় কন্ডিশনের ১-টন এসি পাওয়া যায়। বর্তমানে ১-টন এসির দাম এর ব্র্যান্ড, প্রযুক্তি, কোয়ালিটি, ইত্যাদির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ১-টন এসির দাম ১৬,০০০ টাকা থেকে শুরু যা উইন্ডো টাইপ এসি এবং পুরাতন কন্ডিশনের হয়ে থাকে। অন্যদিকে, নতুন কন্ডিশনের ১-টন এসির দাম ৩০,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যাতে একাধিক কুলিং মোড থাকে এবং হাই-ডেন্সিটি ফিল্টার সহ বিভিন্ন আধুনিক বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাছাড়া, ১-টন ক্যাপাসিটির ইনভার্টার এসি বাংলাদেশে পাওয়া যায় যার দাম তুলনামূলক বেশি।
কেন ১-টন এসি কিনব?
১-টন এসি সহজেই ছোট ও মাঝারি সাইজের রুম ঠাণ্ডা করতে পারে। তাছাড়া, ১-টন এসি ব্যবহার করলে কিছু নির্দিষ্ট সুবিধা পাওয়া যায় যা বিস্তারিত বর্ণনা করা হলঃ
১। সাশ্রয়ী দামঃ ১-টন ক্যাপাসিটির এসির দাম সাধারণত অন্যান্য ক্যাপাসিটির এসির তুলনায় কম হয়ে থাকে। এবং, ১-টন এসিগুলো কম দামে বিভিন্ন প্রযুক্তি যুক্ত বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। ফলে, বাংলাদেশের যেকোনো স্তরের মানুষ পছন্দ অনুযায়ী ১-টন এসি সংগ্রহ করতে সক্ষম।
২। কম বিদ্যুৎ খরচঃ ১-টন এসি তুলনামূলক কম ক্যাপাসিটির হওয়ায় মাসিক বৈদ্যুতিক খরচ তুলনামূলক কম হয়। তাই, কম খরচে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ১-টন এসি উপযুক্ত। তাছাড়া, ইনভার্টার প্রযুক্তি যুক্ত ১-টন এসি তুলনামূলক আরো কম বিদ্যুৎ খরচ করে। তাই, বাজেট অনুসারে স্প্লিট বা ইনভার্টার যেকোনো ধরনের ১-টন এসি সংগ্রহ করা যেতে পারে।
৩। কভারেজ এরিয়াঃ ১-টন এসি সাধারণত ১০০ থেকে ১৫০ বর্গ ফুট জায়গা অনায়াসে ঠাণ্ডা করে ফেলতে পারে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ রুমের সাইজের সাথে ১-টন এসি সামঞ্জস্য।
৪। আধুনিক ফিল্টারেশনঃ ১-টন এসি গুলোতে আধুনিক ফিল্টারেশন সিস্টেম থাকে ফলে, এজমা বা শ্বাসকষ্ট জনিত, রোগিদের রুমের জন্য উপযুক্ত। তাছাড়া, ১-টন এসি কম দামে পাওয়া যায় বিধায় হাসপাতালে রোগিদের ছোট কেবিনের জন্য সামঞ্জস্য।
৫। আধুনিক বৈশিষ্ট্যঃ ১-টন এসিতে স্লিপিং মোড, অন-অফ টাইমার, হাই-ডেন্সিটি ফিল্টার, অটোমেটিক ড্রয়িং অপারেশন, ইন্টেলিজেন্ট ডিফ্রস্টিং, এবং ইত্যাদি বিশেষ বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলোর কারণে ১-টন এসি ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়।
তবে, ১-টন এসি কেনার আগে অবশ্যই প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য যাচাই করে নিতে হবে। এবং, এসির দাম অনুযায়ী কোয়ালিটি ঠিক আছে কিনা তা দেখতে হবে।