গ্রী এসি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় এয়ার কন্ডিশনার ব্র্যান্ড। বিভিন্ন ক্ষমতার স্প্লিট, উইন্ডো, ক্যাসেট এবং পোর্টেবল ধরনের গ্রী এসি বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে স্পিল্ট গ্রী এসির দাম 39,000 টাকা থেকে 100,000 টাকার বেশি হয়ে থাকে এবং দাম মূলত নির্ভর করে এর কুলিং ক্যাপাসিটি এবং টেকনোলোজির উপর। তাই আপনার যে কত টনের গ্রী এসি দরকার সেই ক্যাপাসিটির কিনলে আপনার কিছু বাজেট যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি বিদ্যুৎ বিল কম আসবে। এছাড়াও গ্রী এসির কিছু বিশেষ ফিচার আছে যেমন আই-ফিল বাটন, ওয়াই-ফাই, স্ক্যাভেঞ্জিং ফাংশন, স্বাস্থ্য ফাংশন।
বাংলাদশে নন-ইনভার্টার গ্রী এসির সাথে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি এবং ইনভার্টার গ্রী এসির সাথে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি প্রদান করা হয় তাই নিশ্চিন্তে গ্রী এসি ক্রয় করতে পারেন। বিডিস্টল.কম এ আকর্ষণীয় অফারে গ্রী এসি পাওয়া যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে দাম তুলনা করে কিনতে পারবেন।
Read more
গ্রী এসি কেনাকাটা
গ্রী একটি চীনা এসি নির্মাতা যা "ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড" হিসাবে প্রসিদ্ধ। গ্রী এসির কোয়ালিটি, সার্ভিস, এবং কম দামের জন্য বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
১।গ্রী এসির কম্পেসারের লাইফ টাইম বেশি থাকে যার ফলে এক কম্প্রসার দিয়েই এসি দিয়েই অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
২। গ্রি এসি বর্তমান বাজারে ১টন, ১.৫ টন, ২ টন, ২.৫ টন থেকে ৫ টন পর্যন্ত হয়ে থাকে বিধায় চাহিদা অনুযায়ী এসি ক্রয় করা যায়।
৩। বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্য ইনভার্টার প্রযুক্তি যুক্ত গ্রী এসি পাওয়া যায়।
৪। অল্প দামের মধ্যে নন-ইনভার্টার গ্রী এসি পাওয়া যায় যেগুলো এনার্জি সেভিং হয়ে থাকে।
৫। গ্রী এসি পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় প্রায় সকল পরিবেশে সামঞ্জস্যভাবে শীতল পরিবেশ বজায় রাখে।
৬। গ্রী এসি ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়, ফলে বাংলাদেশে বাসা-বাড়ি, অফিস এবং ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এরিয়াতে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারে অনেক কম টাকা খরচ হয়।
৭। গ্রী এসিতে ওয়াইফাই টেকনোলজি যুক্ত থাকায় রিমোটলি কন্ট্রোল করার পাশাপাশি স্মার্টফোনের মাধ্যমেও অপারেট করা যায়।
৮। তাছাড়া, গ্রী এসিতে ইনভার্টার টেকনোলজি যুক্ত থাকায়, শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।
৯। এছাড়ও, গ্রী ব্র্যান্ডের নন-ইনভার্টার এসি সমূহে শুধুমাত্র ৩ টি কম্প্রেসার সমন্বয়ে তৈরী, যার ফলে নন-ইনভার্টার গ্রী এসি ব্যবহারে শতকরা প্রায় ২০ ভাগ বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।
১০। গ্রী এসি ব্যবহারে শব্দ অনেক কম হয়, ফলে অফিস, বাসা-বাড়িতে ব্যবহারে কোনো ধরনের বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি হয় না।
১১। গ্রী এসিতে সেল্ফ ক্লিনিং ফাংশন যুক্ত রয়েছে, ফলে দীর্ঘদিন নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়।
১২। গ্রী এসি ব্যবহারে বৈদ্যুতিক শর্ট এড়াতে স্পেশালাইজড ভোল্টেজ কন্ট্রোল সিস্টেম যুক্ত রয়েছে।
১৩। গ্রী ব্র্যান্ডের প্রায় সকল মডেলের এসিতে ফ্ল্যাট-প্যানেলযুক্ত ফাইবারগ্লাস ফিল্টার, এয়ার ফিল্টার, প্লেটেড মিডিয়া ফিল্টার, জার্ম ফিল্টার, এইচইপিএ ফিল্টার, ডাস্ট ফিল্টার এবং প্লাজমা ফিল্টার সহ বিভিন্ন ধরনের ফিল্ট্রেশন সিস্টেম রয়েছে। ফলে, গ্রী এসি ব্যবহারে এলার্জি, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগী কিংবা বয়স্কলোকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ প্রদান করে।
১৪। গ্রী ব্র্যান্ডের প্রায় সকল মডেলের এসিতে প্রায় ৭-স্পিড কন্ট্রোল লেভেল রয়েছে, ফলে বাতাসের গতি সুবিধাজনকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
গ্রী এসির দাম কত?
বাংলাদেশে গ্রী এসির দাম প্রায় ৩৬,৯০০ টাকা যা ১-টন এসি এবং এতে ১০ ফুট পাইপ এবং ওয়ারেন্টি পরিষেবা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের গ্রীষ্মের মৌসুমে ১০০ বর্গফুট জায়গা খুব কার্যকরভাবে ঠান্ডা করার জন্য যথেষ্ট। যাইহোক, আপনার বাড়িতে বা অফিসে এসি সেট আপ করার সময় কিছু অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন হবে যেমন আউটডোর হ্যাঙ্গিং স্ট্যান্ড এবং সঠিক বৈদ্যুতিক তারের।
১.৫ টন গ্রী এসির দাম কত?
১.৫ টন গ্রী এসির দাম ৪৮,০০০ টাকা থেকে শুরু যা বাংলাদেশে কার্যকরভাবে ১৫০ বর্গফুট জায়গা ঠান্ডা করার জন্য যথেষ্ট। যাইহোক, যদি ঘরটি উপরের তলায় হয়ে থাকে তবে একই জায়গার জন্য আরও শক্তিশালী এসি প্রয়োজন হতে পারে। ইনস্টলেশন খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। ইনভার্টার প্রযুক্তির জন্য, মডেল এবং বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ১.৫ টন গ্রী ইনভার্টার এসির দাম ৫৮,৫০০ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকা।
২-টন গ্রী এসির জন্য কত লাগবে?
বিডিতে ২-টন গ্রী এসির দাম সাধারণত ৫৭,০০০ টাকা থেকে ৭২,০০০ টাকা পর্যন্ত যা প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে যেমন এটি ইনভার্টার বা নন-ইনভার্টার। এই সাইজের এসি ২০০ বর্গফুট পর্যন্ত ঠাণ্ডা করতে পারে। আপনার যদি আরও জায়গা ঠান্ডা করতে হয় তাহলে বিডি স্টলে ৩ টন পর্যন্ত গ্রী এসি পাওয়া যায়। বিটিউ এর উপর ভিত্তি করে দাম নির্ভর করবে।
গ্রী ইনভার্টার এসি ব্যবহার করলে কত বিল কমবে?
গ্রী ইনভার্টার প্রযুক্তিতে বিশেষ কম্প্রেসার রয়েছে যেখানে কম্প্রেসারের ঘূর্ণন গতি পরিবর্তনশীল এবং ঘর ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে ঘোরে। সুতরাং এটি ৭০% পর্যন্ত বৈদ্যুতিক বিল হ্রাস করে। তবে গ্রী ইনভার্টার এসির দাম ৫৭,০০০ টাকা থেকে শুরু হলেও দীর্ঘমেয়াদে অনেক সাশ্রয় হবে।
গ্রী এসিতে আই-ফিল বোতামটি কী?
এটি গ্রী দ্বারা ডিজাইন করা একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য যেখানে রিমোটে একটি তাপমাত্রা মাপার সেন্সর রয়েছে এবং এসি যেখানে রিমোটটি অবস্থিত তার সমান তাপমাত্রা বজায় রাখবে।
গ্রী এসিতে ওয়াই-ফাই ফাংশন কী?
বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কিছু মডেলে ইনবিল্ট ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির রয়েছে যা অ্যাপের মাধ্যমে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে গ্রী এসিকে স্মার্টফোনে সংযুক্ত করে। অ্যাপ ব্যবহার করে এসি চালানো খুবই সুবিধাজনক।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় গ্রী এসি মডেল কোনগুলো?
বাংলাদেশে গ্রী ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ক্যাপাসিটির ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার এসি সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। তবে, কিছু কিছু মডেল উচ্চ শক্তি দক্ষতা রেটিংস সরবারহ করায়, গ্রী এসি ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়। বর্তমানে, বাংলাদেশে গ্রী জিএস-১২এমইউ৪১০, গ্রী জিপি-১২এলএফ, গ্রী জিএস-১৮এম ইউ ৪১০, গ্রী জিএস ২৪-এমইউ মডেলের এসি সমূহ উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।