অ্যাকশন ক্যামেরা কেনাকাটা
বাংলাদেশ এখন অ্যাকশন ক্যামেরা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্রমাগতই। বর্তমানে যারা ভ্রমন করতে ভালোবাসে তাদের কাছে অ্যাকশন ক্যামেরা নেই এমন সংখ্যা খুবই কম। ভ্রমনে গিয়ে স্মৃতি গুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে অ্যাকশন ক্যামেরা ব্যবহার হয়ে থাকে। বিভিন্ন রকমের ক্যামেরা বাজারে পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলো ভ্রমণের জন্য ভিডিও ধারণ করার জন্য যথেষ্ট বা যথাযথ নয়। মূলত এডভেঞ্চার, বাইকিং, সাইকেলিং, বোটিং, পানির নিচের প্রকৃতি ইত্যাদি এসকল জিনিসের ভিডিও ধারণ করার জন্যই অ্যাকশন ক্যামেরা তৈরি করা হয়েছে। আর এই কারণেই বাংলাদেশে গ্রাহকেরা অ্যাকশন ক্যামেরা কেনায় মেতে উঠেছে।
বিডিতে অ্যাকশন ক্যামেরার দাম কত?
বিডিতে, অ্যাকশন ক্যামেরার দাম ১,৭০০ টাকা আর ৪কে অ্যাকশন ক্যামেরার দাম ২,২০০ টাকা থেকে শুরু। এই ক্যামেরাগুলোকে স্পোর্টস ক্যামেরাও বলা হয়ে থাকে কারন এগুলো চলন্ত অবস্থায় যেকোন জায়গায় মাউন্ট করে ভিডিও ও অডিও ধারণ করা যায়।
ভ্রমনের জন্য কেন অ্যাকশন ক্যামেরা কিনবেন?
বাংলাদেশে বিভিন্ন রেজুলেশনের, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অ্যাকশন ক্যামেরা পাওয়া যায়। তাই অ্যাকশন ক্যামেরা কেনার আগে যে বৈশিষ্ট্য জানতে হবে সেগুলো হলোঃ
রেজুলেশনঃ
বাংলাদেশে ফুল এইচডি এবং ৪কে রেজুলেশনের অ্যাকশন ক্যামেরা পাওয়া যায়। এই রেজুলেশন এর উপর ভিত্তি করে অনেকাংশে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। যদি পাহাড়, সমুদ্র, আকাশ পথের ভিডিও ধারণ করতে চান তবে ৪কে রেজুলেশনের অ্যাকশন ক্যামেরা ভালো হবে। আবার যদি বাইকিং, সাইকেলিং, বোটিং এর ভিডিও ধারণ করতে চান তাহলে ফুল এইচডি রেজুলেশনের ক্যামেরা যথেষ্ট হবে।
লেন্সঃ
প্রত্যেকটি অ্যাকশন ক্যামেরাতে ব্যবহার করা হয় ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স। অনেক অ্যাকশন ক্যামেরাতে ১২০ থেকে ১৮০ ডিগ্রী আলট্রা ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স থাকে। এগুলো দিয়ে অনেক সুন্দর ভিউ পাওয়া যায় এবং ভিডিও হয় প্রাণবন্ত।
টেকসইঃ
বিভিন্ন এডভেঞ্চারের জন্য অ্যাকশন ক্যামেরা খুব মজবুত ভাবেই তৈরি হয়ে থাকে। তাই টেকসই এর দিকে অ্যাকশন ক্যামেরা যেকোনো ক্যামেরা থেকে বেশি ভাল।
ওয়াটারপ্রুফ এবং ডাস্টপ্রুফঃ
ওয়াটারপ্রুফ এবং ডাস্টপ্রুফ প্রতিটি অ্যাকশন ক্যামেরাই হয়ে থাকে। তাই ময়লা এবং পানি নিয়ে করতে হবে না কোন চিন্তা। ধুলাবালি এবং সমুদ্রের তলদেশ এমন স্থানেও ভিডিও করা যাবে খুব চমৎকার ভাবে।