bdstall.com

হিসাব করার সফটওয়্যার

আইটেম ১-২৭ এর ২৭

হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার কেনাকাটা

বাংলাদেশে ছোট স্টার্টআপ থেকে শুরু করে বড় কর্পোরেশন এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মত সকল আকারের ব্যবসার জন্য অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এই কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন আর্থিক লেনদেন রেকর্ড করার, সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ মূলক প্রতিবেদন তৈরি করা এবং উন্নত আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজকে সহজতর করে। আপনি যদি বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী কিংবা কোম্পানীর মালিক হউন এবং আপনার অ্যাকাউন্টিং প্রক্রিয়াগুলো অপ্টিমাইজ করতে চান, তাহলে এর সুবিধা এবং বিকল্পগুলো বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার কেন অপরিহার্য

একটি সমৃদ্ধ ব্যবসার ভিত্তি হল আয় এবং ব্যয়ের সূক্ষ্ম ট্র্যাকিং, যা তথ্যবহুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা বাড়ায়। যদিও বাংলাদেশের কিছু ব্যবসা এখনও খাতা, কলম এবং ক্যালকুলেটরের মতো ঐতিহ্যবাহী  সিস্টেমে পরিচালিত হয়। তবে এটি সময়সাপেক্ষ, শ্রমসাধ্য এবং ত্রুটি পূর্ণ হতে পারে, যা আপনার ব্যবসার বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। ডাবল-এন্ট্রি অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য আকর্ষণীয় সমাধান প্রদান করে।

বাংলাদেশে ব্যবসার জন্য অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

  • বর্ধিত দক্ষতা এবং গতিঃ অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজগুলো অটোমেটেড সিস্টেমে করে থাকে। ফলে, ম্যানুয়াল অ্যাকাউন্টিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সময় এবং শ্রম উভয়ের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।
  • ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেসঃ আধুনিক অ্যাকাউন্টিং সফ্টওয়্যার ইউজার ফ্রেন্ডলিভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ডেডিকেটেড এবং অত্যন্ত দক্ষ কর্মীর প্রয়োজনীয়তা দূর করে।
  • একাধিক অপারেশনঃ একাধিক অ্যাকাউন্টিং কাজ একসাথে সম্পন্ন করা যায়, যা আপনার ব্যবসা  কিংবা কোম্পানীর সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা উন্নত করে।
  • পেশাদার চালানঃ সু-বিন্যস্ত এবং সংগঠিত রসিদ এবং চালান তৈরি করে, যা আপনার ব্যবসার পেশাদার ভাবমূর্তি উন্নত করুন।
  • সঠিক আয় এবং ব্যয় ট্র্যাকিংঃ আরও ভাল পর্যবেক্ষণ করার একাউন্টিং সফটওয়্যার দিয়ে দৈনিক, মাসিক এবং বার্ষিক আর্থিক কর্মক্ষমতা সহজেই গণনা করা যায়।
  • ডেটা সুরক্ষা এবং ব্যাকআপঃ ক্লাউড-ভিত্তিক অ্যাকাউন্টিং সফ্টওয়্যার নিয়মিত ব্যাকআপ সহ শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষা প্রদান করে, যার ফলে ডেটা ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম।
  • দূরবর্তী অ্যাক্সেসিবিলিটিঃ ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যেকোনো জায়গা থেকে রিয়েল-টাইম ব্যবসায়িক আর্থিক ডেটা অ্যাক্সেস করার পাশাপাশি আপডেট এবং পর্যবেক্ষণ করা সহজ হয়ে থাকে।

অ্যাকাউন্টিং সফ্টওয়্যার বাছাই করার জন্য মূল ফিচারসমূহ

বাংলাদেশে অ্যাকাউন্টিং সফ্টওয়্যার বাছাই করার সময় নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় ফিচারসমূহ বিবেচনা করুন

  • ইনভয়েস প্রক্রিয়াকরণঃ দক্ষতার সাথে ইনভয়েস পরিচালনা এবং ট্র্যাক করা, বকেয়া এবং প্রাপ্ত অর্থপ্রদান পর্যবেক্ষণ করা এবং অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত তথ্য সমূহ যাচাই করতে হবে।
  • পে-রোল ব্যবস্থাপনাঃ কর্মচারীদের বেতন এবং ভাতা গণনা, কর্তনকৃত টাকা ম্যানেজ করা  এবং বেতন স্লিপ তৈরি করার মত ফিচার যাচাই করতে হবে। কিছু অ্যাকাউন্টিং সফ্টওয়্যার ঘন্টাভিত্তিক ব্যবহারের বিকল্প সুবিধা প্রদান করে।
  • বাজেট পূর্বাভাসঃ বর্তমান ব্যয় এবং প্রকল্পের ভবিষ্যতের আর্থিক চাহিদা সম্পর্কে পূর্বাভাস, বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা এবং উৎপাদনের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সহায়ক হবে কিনা যাচাই করতে পারেন।
  • ব্যাংকিং ইন্টিগ্রেশনঃ সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংক লেনদেন, একাধিক অ্যাকাউন্ট ট্র্যাক করা এবং রিয়েল-টাইম ব্যাংকিং তথ্য অ্যাক্সেস করা যায় কিনা যাচাই করতে হবে।
  • অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ইন্টিগ্রেশনঃ গ্রাহকদের মসৃণ পেমেন্ট সুবিধা প্রদানের জন্য বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ের সাথে একীভূত করে কাজ করে কিনা তা যাচাই করতে হবে যা বাংলাদেশে অনলাইন লেনদেনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা পূরণ করে।
  • ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট (অপশনাল)ঃ স্টক লেভেল ট্র্যাক করা, পণ্য বিক্রয় পর্যবেক্ষণ করা এবং ভৌত পণ্যের সাথে লেনদেনকারী ব্যবসার জন্য ইনভেন্টরি দাম এবং টার্নওভারের প্রতিবেদন তৈরি করা যায়।
  • রিয়েল-টাইম রিপোর্টিংঃ খরচ, বিক্রয় এবং ইনভেন্টরির উপর হালনাগাদ করে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, যা সময়মত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
  • বুককিপিং অটোমেশনঃ ইনভয়েসিং, ব্যাংক রিকনসিলেশন এবং পে-রোল এর মতো রুটিন কাজগুলিকে অটোমেটেড করে, ম্যানুয়াল ত্রুটি হ্রাস করে এবং মূল্যবান সময় সাশ্রয় করে।
  • কর ব্যবস্থাপনাঃ কর-সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলো সরল করার পাশাপাশি কর দায় গণনা, কর প্রতিবেদন তৈরি এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনা সহ বাংলাদেশের কর প্রবিধানগুলোর সাথে সম্মতি নিশ্চিত করে।
  • কাস্টমাইজেশন বিকল্পঃ এমন অ্যাকাউন্টিং সফ্টওয়্যার বিবেচনা করুন যা আপনার নির্দিষ্ট ব্যবসায়িক চাহিদা এবং কর্মপ্রবাহের সাথে মানানসই হবে, যা প্রায়শই বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।

বিবেচনা করার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় ফিচার

মূল কার্যকারিতার বাইরে, অন্যান্য ফিচারগুলো যাচাই করুন:

  • গতি এবং ব্রাউজার-ভিত্তিক অ্যাক্সেসঃ নিশ্চিত করুন যে সফ্টওয়্যারটি দ্রুত এবং ওয়েব ব্রাউজার সহ যেকোনো ডিভাইস থেকে সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে থাকে।
  • স্কেলেবিলিটিঃ এমন সফ্টওয়্যার বিবেচনা করুন যা আপনার ব্যবসার ভবিষ্যতের বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান লেনদেনের পরিমাণকে সামঞ্জস্য করতে পারে।
  • ইন্টিগ্রেশন ক্ষমতাঃ সফ্টওয়্যারটি ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, পে-রোল এবং ছুটি ব্যবস্থাপনার মতো অন্যান্য ব্যবসায়িক সিস্টেমের সাথে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে কিনা তা যাচাই করুন।
  • মোবাইল অ্যাক্সেসিবিলিটিঃ সচারাচর অ্যাক্সেসের জন্য ডেডিকেটেড মোবাইল অ্যাপ বা একটি রেসপন্সিভ ওয়েব ইন্টারফেস সহ অ্যাকাউন্টিং সফ্টওয়্যার বেছে নিন।

বাংলাদেশে উপলব্ধ অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারের প্রকারভেদ

বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন ধরণের অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার রয়েছে।

  • উন্নত অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারঃ জটিল অ্যাকাউন্টিং চাহিদা সম্পন্ন বৃহৎ ব্যবসা এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির জন্য আদর্শ। উল্লেখযোগ্য ফিচার হচ্ছে উন্নত আর্থিক প্রতিবেদন, বহু-মুদ্রা সহায়তা, বাজেট পূর্বাভাস এবং স্থায়ী সম্পদ ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশে এডভান্স অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারের দাম পরিসীমা ৫৫,০০০ টাকা - ৬০,০০০ টাকা।
  • ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারঃ স্টক লেভেল ট্র্যাকিং এবং পরিচালনা, পুনর্বিন্যাস স্বয়ংক্রিয়করণ এবং ইনভেন্টরি মূল্যায়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। বাংলাদেশে ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এর দাম পরিসীমা ২০,০০০ টাকা - ৬০,০০০ টাকা।
  • পে-রোল অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারঃ বেতন গণনা, কর কর্তন এবং এডমিনিস্ট্রেটিভ সুবিধা সহ বেতন প্রক্রিয়াকরণ স্বয়ংক্রিয় করে, যা শ্রম আইন মেনে চলা নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে পে-রোল অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারের দাম পরিসীমা ৫০,০০০ টাকা - ৬০,০০০ টাকা।
  • ডাবল এন্ট্রি অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারঃ মৌলিক অ্যাকাউন্টিং নীতি অনুসরণ করে, আর্থিক রেকর্ডে নির্ভুলতা নিশ্চিত করে এবং বড় অরগানাইজেশনের জন্য ব্যাপক প্রতিবেদন তৈরি করে। বাংলাদেশে ডাবল এন্ট্রি অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারের দাম পরিসীমা ৪৫,০০০ টাকা - ৫৫,০০০ টাকা।
  • ইআরপি/ক্লাউড অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারঃ অ্যাকাউন্টিং, ইনভেন্টরি, বিক্রয় এবং এইচআর এর মতো বিভিন্ন ব্যবসায়িক ফাংশনগুলোকে একীভূত করে, রিয়েল-টাইম ডেটা অ্যাক্সেস এবং উন্নত সহযোগিতা প্রদান করে। বাংলাদেশে ইআরপি/ক্লাউড অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারের দাম পরিসীমা ৫৫,০০০ টাকা - ১২০,০০০ টাকা।
  • সহজ অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারঃ ছোট ব্যবসা এবং সীমিত অ্যাকাউন্টিং জ্ঞান সম্পন্ন ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা মৌলিক অ্যাকাউন্টিং কাজের জন্য ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস প্রদান করে। বাংলাদেশে ইজি অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারের দাম পরিসীমা ৫৫,০০০ টাকা - ৬৫,০০০ টাকা।
  • অনলাইন অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারঃ ওয়েব-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে আর্থিক তথ্যে নিরাপদ অ্যাক্সেস প্রদান করে, যা দূরবর্তী ব্যবসার জন্য উপযুক্ত। বাংলাদেশে অলনাইল অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারের দাম পরিসীমা ৫০,০০০ টাকা - ৬০,০০০ টাকা।
  • ভ্যাট ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারঃ গণনা এবং রিপোর্টিং সহ বাংলাদেশের ভ্যাট নিয়ম মেনে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভ্যাট ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের দাম পরিসীমা ৮০,০০০ টাকা - ৯০,০০০ টাকা।
  • ইনভয়েস এবং বিলিং অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারঃ ইনভয়েস এবং পেমেন্ট তৈরি, প্রেরণ এবং ট্র্যাকিং সহজ করে, নগদ প্রবাহ ব্যবস্থাপনা উন্নত করে। বাংলাদেশে ইনভয়েস এবং বিলিং অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারের দাম পরিসীমা ১৫,০০০ টাকা - ৩০,০০০ টাকা।
  • অডিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারঃ পরিকল্পনা থেকে রিপোর্টিং পর্যন্ত অডিট প্রক্রিয়াকে সহজতর এবং স্বয়ংক্রিয় করে। বাংলাদেশে অডিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের দাম পরিসীমা ৫০,০০০ টাকা - ৬০,০০০ টাকা।

সঠিক অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার নির্বাচন: অফ-দ্য-শেল্ফ বনাম কাস্টমাইজড

যদিও রেডিমেড অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার অসংখ্য ফিচার সহ সাশ্রয়ী দামে অ্যাকাউন্টিং সুবিধা প্রদান করে। বাংলাদেশের ইউনিক অ্যাকাউন্টিং প্র্যাক্টিস সহ ব্যবসাগুলো কাস্টমাইজড সমাধান সহ আরও বেশি উপকারী হয়ে থাকে। আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সফ্টওয়্যারটি তৈরি করা, যা নিখুঁত ভাবে ফিট হয় এবং সর্বোত্তম ফলাফল নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশে অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারের খরচ

বাংলাদেশে অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার বিস্তৃত পরিসরের দামে পাওয়া যায়। বেসিক, রেডিমেড অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার মাত্র ৬,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যায়, যেখানে ভালো মানের সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য ২০,০০০ টাকা খরচ করতে হবে। কাস্টমাইজড সলিউশনের খরচ স্বাভাবিকভাবেই বেশি হবে এবং ডেভেলপমেন্টের জন্য আরও বেশি সময় লাগবে, তবে এর কার্যকারিতাও নির্ভর করবে। তবে অ্যাকাউন্টিং সফটয়্যারের সর্বশেষ দাম নির্ভর করে নির্দিষ্ট ফিচার, কাস্টমাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা এবং বিক্রেতার উপর।

বাংলাদেশে অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার কেনার আগে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাচাই করে দেখা উচিত

অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারে বিনিয়োগ করার আগে, নিম্নলিখিত বিষয় সমূহ মূল্যায়ন করুন:

  • বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতাঃ সফ্টওয়্যারটি আপনার বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক চাহিদা পূরণ করে তা নিশ্চিত করুন, যার মধ্যে রয়েছে ইনভয়েসিং, এক্সপেন্স ট্র্যাকিং, ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট (ভ্যাট সম্মতি), ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এবং ডাবল-এন্ট্রি সাপোর্ট।
  • ইউজার ইন্টারফেসঃ একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং সহজে নেভিগেট করা যায় এমন ইন্টারফেস সহ অ্যাকাউন্টিং সফ্টওয়্যার বেছে নিন। তাছাড়া, প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা বিষয়গুলোও জেনে নিন।
  • স্কেলেবিলিটিঃ আপনার ব্যবসা বৃদ্ধির সাথে সাথে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং আর্থিক চাহিদা বৃদ্ধির জন্য সফ্টওয়্যারটির ক্ষমতা বিবেচনা করুন।
  • স্থানীয় কর সম্মতিঃ যাচাই করুন যে সফ্টওয়্যারটি বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কর বিধি, বিশেষ করে ভ্যাট নিয়ম এবং রিপোর্টিং প্রয়োজনীয়তা মেনে চলে।
  • ডেটা সিকিউরিটিঃ সংবেদনশীল আর্থিক তথ্য সুরক্ষিত করার জন্য ডেটা এনক্রিপশন, ব্যবহারকারীর অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত ব্যাকআপ সহ শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টিং সফ্টওয়্যারকে অগ্রাধিকার দিন।
  • ইন্টিগ্রেশন ক্ষমতাঃ ডেটা প্রবাহকে সুগম করতে এবং দক্ষতা উন্নত করতে সফ্টওয়্যারটি আপনার বিদ্যমান ব্যবসায়িক টুলসের সাথে একীভূত করতে পারে কিনা তা যাচাই করুন।
  • বিক্রেতার খ্যাতিঃ নির্ভরযোগ্য সফ্টওয়্যার এবং সময়োপযোগী সহায়তা পাওয়ার জন্য প্রমাণিত ট্র্যাক রেকর্ড সহ জনপ্রিয় ভেন্ডর নির্বাচন করুন।
  • বাজেটঃ নিশ্চিত করুন যে সফ্টওয়্যারটি আপনার বাজেটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা প্রদান করে।
  • মোবাইল অ্যাক্সেসঃ ডেডিকেটেড অ্যাপ বা মোবাইল-বান্ধব ওয়েব ইন্টারফেসের মাধ্যমে মোবাইল অ্যাক্সেসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করুন।

বাংলাদেশে ছোট ব্যবসার জন্য বিনামূল্যে অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার: একটি কার্যকর বিকল্প?

হ্যাঁ, বাংলাদেশের ছোট ব্যবসাগুলো প্রায়শই বিনামূল্যে অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার দিয়ে শুরু করতে পারে। তবে, উন্নত ফিচারগুলোর জন্য সাধারণত পেইড সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন। যদিও বিনামূল্যে সফ্টওয়্যার ব্যবসার শুরুর দিকে ব্যবহারের জন্য ভালো হতে পারে, তবে কাস্টমাইজড সমাধানগুলো নির্দিষ্ট ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং বৃদ্ধি পরিকল্পনার জন্য উন্নত ফিচার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ভ্যালু প্রদান করতে পারে।

বাংলাদেশের সেরা হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার এর মূল্য তালিকা April, 2025

2024 & April, 2025-এর বাংলাদেশের সেরা হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার মডেল বাংলাদেশে দাম
Easy Accounting Software ৳ ৩৫,০০০
Advanced Accounting Software ৳ ৪২,০০০
Accounting Management Software & Payroll ৳ ৬৫,০০০
Accounting Management Software ৳ ২৮০,০০০
Accounting Software for Business ৳ ৩৫,০০০
Accounting Software for NGO ৳ ৪২,৫০০
Accounting Software with Inventory ৳ ৪৫,০০০
Bangla Accounting Inventory Billing Software ৳ ৩৫,০০০
Accounting Software for Office with Bank Statement ৳ ৪৫,০০০
Online Accounting Software ৳ ৩৫,০০০