হাজিরা মেশিন কেনাকাটা
অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র হ'ল এমন একটি সুরক্ষা কৌশল যা এক স্থান অন্য স্থান দেখতে বা ব্যবহার করতে বা অ্যাক্সেস করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটিকে উপস্থিতিরর সময় রেকর্ড করার কাজেও ব্যবহার করা হয় যা টিপসই হাজিরা মেশিন নামে পরিচিত। এই নিরাপত্তা সামগ্রি সমূহ অনেক ক্ষেত্রে যেমন, ব্যবসায়, ব্যাংকে, অফিসে, স্কুল-কলেজ সহ সকল প্রকার কাজের নিরাপত্তা প্রদানের কাজে ব্যবহার করা যায়। অ্যাক্সেস কন্ট্রল অনেকগুলো বিষয়ের উপরে নির্ভর করে থাকে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালোঃ
নিরাপত্তার পদ্ধতিঃ
এক্সেস কন্ট্রল বিভিন্ন পদ্ধতিতে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে এর মধ্যে ফিঙ্গার, রেটিনা, ফেস, কী-প্যাড, আরএফআইডি উল্লেখযগ্য।
১। ফিঙ্গার সিস্টেমঃ যে পদ্ধতিতে হাতের আঙ্গুল স্ক্যান এর মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে তাকে ফিঙ্গার প্রিন্ট আক্সেস কনট্রোল বলে। এই সিস্টেমে পুর্বেই ডাটা ইনপুট করে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। পরবর্তিতে পূর্বের তথ্যের উপরে ভিত্তি করে কাজ করে থাকে।
২। রেটিনা সিস্টেমঃ রেটিনা হচ্ছে চোখের মণির পিছনের আলোকসংবেদী পর্দা। অ্যাক্সেস কন্ট্রলের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর ভিতরে রেটিনা স্ক্যান করে তথ্য ইনপুট করা হয়। যার ফলে অ্যাক্সেস কন্ট্রোলের আলো চোখের উপরে পরলে তা পূর্বের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্ক্যান করে কাজ করে থাকে।
৩। ফেস সিস্টেমঃ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির নিরাপত্তা ডিভাইস। এ ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকে সেন্সর যুক্ত ক্যামেরা যা ফেসকে খুব দ্রুত স্ক্যান করতে পারে। পুর্বের ডিভাইস গুলোর মতো এটিতেও ডাটা আগেই ইনপুট করে দিতে হয়। সেই ডাটার উপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে।
৪। কী-প্যাড সিস্টেমঃ নির্দিষ্ট আইডির নাম্বার বাটনে চাপ দিয়ে ডিভাইসটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৫। আরএফআইডি সিস্টেমঃ আরএফআইডি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা বেতার কম্পাঙ্ক চিহ্নিতকরণ। রেডিও এর ফ্রিকুয়েন্সির মাধ্যমে কাজ করে থাকে এই আরএফআইডি ডিভাইস। দেওয়া তথ্যগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সনাক্ত করতে ও ট্র্যাক করতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্ষেত্রগুলি ব্যবহার করে। এর জন্য এ ডিভাইসের সাথে রেডিও রিসিভার এবং ট্রান্সমিটার যুক্ত করা থাকে।
ডিভাইসের ক্যাপাসিটিঃ
সকল প্রকারের অ্যাক্সেস কন্ট্রোলের ধারণ ক্ষমতা একই রকমের হয় না। ব্যবহারকারীর প্রয়জনীয় চাহিদার উপর ভিত্তি করে এটি নির্বাচন করা উচিৎ। এখানে দুই ধরনের ক্যাপাসিটি থাকে একটি হল ইউজার ক্যাপাসিটি অন্যটি হল লগ ক্যাপাসিটি। এর মধ্যে ইউজার ক্যাপাসিটি বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। ইউজার ক্যাপাসিটি ২৫৫ থেকে ১০০০০০ এর উপর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে সেটা এক্সেস কন্ট্রলের সিস্টেমের ওপরে নির্ভর করে থাকে।
দরজার সেন্সর ও লকঃ
দরজার সেন্সরগুলি বাড়ির সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। বাড়িতে কেউ প্রবেশ করলে জানিয়ে দেয় এবং । যখন কেউ দরজা খুলবে, তখন দুটি অংশ আলাদা হয়ে যাবে । এছড়াও বর্তমান সময়ে দরজায় স্মার্ট লক ব্যবহার করা হয়। স্মার্ট লকের সেন্সরটি দরজাটি খোলা বা বন্ধ আছে কিনা তা সনাক্ত করে এবং যদি দরজাটি খোলা থাকে তখন লক করতে চাইলে সতর্ক করে দেয়।
কানেক্টিভিটিঃ
কানেক্টিভিটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে এর সিকিউরিটি সিস্টেমের উপরে। ভিন্ন ধরনের সিকিউরিটি সিস্টেমে ভিন্ন ধরনের কানেক্টিভিটি ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে-কি-প্যাড আরএফআইডি এর মধ্যে টিসিপি / আইপি , ওয়াই-ফাই অপশনাল এবং ইউএসবি হোস্ট ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। ফিঙ্গার প্রিন্ট এক্সেস কন্ট্রলের মধ্যে ব্লুটুথ সংযোগ ছাড়াও অন্যান্য সংযোগ থাকে।
ব্যাক আপ পাওয়ারঃ
সকল প্রকারের এক্সেস কন্ট্রলের মধ্যে ব্যাটারী ব্যাক আপ থাকে না। তবে বর্তমানে অধিকাংশ এক্সেস কন্ট্রলের মধ্যে ব্যাটারি ব্যাক আপ দেওয়া থাকে যা বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালু থাকে। সেটা নির্ভর করে এক্সেস কন্ট্রলের ব্যাটারির ক্যাপাসিটির ও ব্যবহারকারির ধরনের উপরে। তবে ব্যবহারের সুবিধার জন্য এক্সেস কন্ট্রলে ব্যাটারি ব্যাক আপ থাকা ভালো।