বাংলাদেশের বাজারে টয়োটা, নিশান, হোন্ডা, সুজুকি, মিতশুবিসু ব্যান্ড এর গাড়ি চাহিদা অনেক। তবে আমাদের দেশের সমগ্র বাজার বিবেচনায় টয়োটা প্রিমিও হচ্ছে গ্রাহকের সেরা পছনন্দের একটি কার। ২০১৮ সালের জরিপে দেখা গিয়েছিলো যে বাংলাদেশের বাজারে ৫ টি জনপ্রিয় প্রাইভেট কারের মধ্যে শুধুমাত্র টয়োটা ব্র্যান্ডের কার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো শতকরা ৮০ ভাগ। টয়োটা ব্র্যান্ড কারের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে প্রিমিও সিরিজ। টয়োটা প্রিমিও কার গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার কিছু বিষয় রয়েছে যা অন্য কোনো গাড়িতে সচারাচর দেখতে পাওয়া যায় না।
প্রিমিও গাড়ির আউটলুক,ফ্রন্ট হুইল ড্রাইভ ডিজাইন, হালকা স্টিয়ারিং, নিয়ন্ত্রিত ব্রেক সিস্টেম, আরামদায়ক সিট, জ্বালানী সাশ্রয়ী ইত্যাদি সুবিধা সমূহের জন্য আমাদের দেশে এক্সিকিউটিভ টাইপ গাড়ি বা পারিবিক গাড়ি বলা হয়।
বাংলাদেশের মধ্যে ব্র্যান্ড নিউ, রিকন্ডিশন, ও ইউজড গাড়ি সহ সকল ধরনের প্রাইভেট কেনাবেচা হয়। বাংলাদের বাজার সাপেক্ষে টয়োটা প্রিমিও কারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত জেনে নেওয়া যাকঃ-
টয়োটা প্রিমিও ব্র্যান্ড নিউ কার
সারা বিশ্বে উৎপাদিত গাড়ি বিক্রির হিসাবের বিচারে টয়োটা ব্র্যান্ডের গাড়ি সেরা। প্রিমিও কারের উৎপাদন ২০২১ সালের মার্চে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের দেশে এখনো টয়োটা ব্র্যান্ডের প্রিমিও কারের যথেষ্ট চাহিদা থাকলেও আমদারিকারক দেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা, আমদানি শুল্ক, ও ব্র্যান্ড নিউ কারের মূল্য ইত্যাদি বিষয় গুলো বিবেচনায় সব স্তরের গ্রাহকদের সাধ্যের মধ্যে। তবে ভালো নির্মাণ, বাহ্যিক সৌন্দর্য, প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত হওয়াই প্রিমিও কারের প্রতি আকৃষ্ট গ্রাহকরা।
প্রিমিও রিকন্ডিশন কার
রিকন্ডিশন বলতে আসলে ব্যবহৃত গাড়ির বডি, মেকানিক্যাল, ইন্টেরিয়র ইত্যাদি মেরামত ও পুনরায় চালানোর জন্য সব দিক থেকে প্রস্তুত করাকে বুঝায়। আমাদের দেশে টয়োটা ব্র্যান্ডের প্রিমিও রিকন্ডিশন গাড়ি এভেইলেবল রয়েছে। রিকন্ডিশন গাড়ির গুনগতমান,জ্বালানি খরচ এবং ইঞ্জিন শক্তি অপ্টিমাইজশন করার ক্ষমতা বিবেচনায় আমাদের দেশে রিকন্ডিশন প্রিমিও গাড়ির চাহিদা অনেক। টয়োটা প্রিমিও কারের সিরিজ, রেজিস্ট্রেশন বছর এবং গ্রেডের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশের বাজারে গাড়ির দাম ২৪ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ইউজড প্রিমিও কার
সেকেন্ড হ্যান্ড কার মূলত পূর্বে কারোর দ্বারা ব্যবহৃত গাড়িকে বুঝি থাকি। টয়োটা ব্র্যান্ডের প্রিমিও কারের গুনগতমান ও জ্বালানী সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য আমাদের দেশে গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় সেরা। দামের দিক থেকে মোটামুটি রিজেনেবল হওয়াই সেকেন্ড হ্যান্ড গ্রাহকরা কেনার জন্য যথেষ্ট আগ্রহী। সেকেন্ড হ্যান্ড প্রিমিও কার নেওয়ার পূর্বে গাড়ির সমস্যা গুলো বুঝে দামের বিষয় বিবেচনা করা হয় এবং যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতার জন্য দ্রুত রিপেয়ার করা যায়। কার কেনার পূর্বে প্রিমিও সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির দাম এবং বর্তমান বাজারে মডেল অনুযায়ী দাম জেনে গ্রাহকের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
গুণগতমান
পূর্বে এবং বিগত কয়েক বছরেও সারা বিশ্বের সাথে আমাদের দেশে বিশ্বস্ততার সাথে টয়োটা প্রিমিও কার তার গুণগত মান, নির্ভরযোগ্যতা ধরে রেখেছে। কারণ টয়োটা প্রিমিও কার এর গুণগত মান, স্থায়িত্ব, পরিবেশের যেন ক্ষতি সাধিত না হয় এবং চালক-যাত্রীদের সুরক্ষা প্রদান করে আসছে। গ্রাহকদের সাচ্ছন্দ্যবোধ তৈরী করার জন্য গাড়ির ইঞ্জিন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ফুয়েল খরচ ইত্যাদি বিষয় গুলো মাথায় রেখে তৈরী করা হয়েছে। টয়োটা প্রিমিও কারের পুরনো মডেলের গাড়ি এখনো আমাদের দেশে সচারাচর দেখা যায় যা এই ব্র্যান্ডের গাড়ির স্থায়িত্ব, গুনগতমানের বহিঃপ্রকাশ। এটি অবশ্যই এই ব্র্যান্ডের নিরভরযোগ্যতা প্রমাণ করে। তাই টয়োটা ব্যান্ডের প্রিমিও গাড়ি গ্রাহকরা একটানা দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারে।
যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা
যেকোনো গাড়ি কেনার আগে গ্রাহকরা এই বিষয়টা অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন। এই দিক থেকে টয়োটা ব্র্যান্ডের প্রিমিও কার নেওয়াই উত্তম কারণ প্রিমিও গাড়ি শুধু আমাদের দেশে নয় সারাবিশ্বে বহুল আলোচিত গাড়ি। আমাদের দেশে টয়োটা ব্র্যান্ডের প্রিমিও কারের যন্ত্রাংশ ও মেরামত করা সহজ। তাই দেশের যেকোনো গ্রামীন পরিবেশে কিংবা শহরে গাড়ি চালালে সহজে মেরামত করা যায়।
টয়োটা প্রিমিও গাড়ির চাহিদা
টয়োটা প্রিমিও কার দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আউটলুকের কোন পরিবর্তন হয় না। যার জন্য গাড়ি ব্যবহারের পরে মোটামুটি ভালো দামে বিক্রি করা যায়। টয়োটা প্রিমিও কারের চাহিদা বাজারে সবসময় বেশি থাকে ফলে গ্রাহকও ব্যবহৃত গাড়ি কিনতে পারে সাশ্রয়ী দামে।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: February 19, 2023