bdstall.com

বাড়িতেই অক্সিজেন তৈরি - অক্সিজেন কনসেনট্রেটর

অক্সিজেন কনসেনট্রেটর

বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কম হতে পারে। বিশেষ করে ফুসফুস জনিত রোগের কারণে রোগীকে অক্সিজেন থ্রেরাপি দিতে হয় অর্থাৎ দীর্ঘ সময় বা সবসময় অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়। বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর কারণে অনেকের শ্বাস-কষ্ট হয় তখন রোগীকে অক্সিজেন দিতে হয়। সেইক্ষেত্রে অক্সিজেন সিলিন্ডারের পরিবর্তে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন ভাল কাজ করে। এটি যেমন দীর্ঘ সময় অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে তেমনি নিয়মিত রিফিল করার প্রয়োজন নেই আর অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন এর দাম এখন আগের চেয়ে অনেক কম।। আসুন জেনই নেই এর ব্যবহার, প্রকারভেদ ও সতর্কতা সহ আর কিছু বিষয়।

 

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর কি?


অক্সিজেন কনসেনট্রেটর হলো এমন একটি ইলেক্ট্রিক যন্ত্র যা প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে অক্সিজেন সম্পন্ন বাতাস সংগ্রহ করে সেখান থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড এবং নাইট্রজেনকে অপসারণ করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করে।


 

কখন ব্যবহার করবেন?


অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশ এর নিচে আসলে তখন অক্সিজেন থেরাপির প্রয়োজন হয়। এই সময়ের মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ না করতে পারলে শরীরের অন্যান্য অংশের ক্ষতি হতে পারে। তাই নিরবিছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের জন্য অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দরকার।

   
 

কোথায় ব্যবহার করবেন?

যেহেতু সবসময় অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য অনেক পরিমানে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সরবরাহ করতে হয় বিধায় এটি ব্যবহুল এবং কষ্টসাধ্য তাই এর বিকল্প হিসেবে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও বাসা বাড়িতে শ্বাস-কষ্ট রোগী  থাকলে সেখানে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর হাতের নাগালে রাখতে হয়।


 

অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের প্রকারভেদ


বর্তমান বাজারে দুই ধরনের অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাওয়া যায়।


এক ধরনের অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বাহিরে থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে নলের মধ্যদিয়ে সরবরাহ করে থাকে। এটি সুইচ অন-অফের মাধ্যমে চালু ও বন্ধ করতে হয়। চালু করার পর থেকে বন্ধ না করা পর্যন্ত এটি অক্সিজেন সংগ্রহ করতে থাকবে।


অন্যটি হচ্ছে অটো অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। এটি সম্পুর্ণ নির্ভর করে ব্যক্তির পালসের উপরে। যখন ব্যক্তির পালস রেট কমে যায় তখন অটোমেটিক কনসেনট্রেটর থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করে। শুধুমাত্র শ্বাস নেওয়ার সময় এটি অক্সিজেনের যোগান দিয়ে থাকে।


 

সতর্কতাঃ


১। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎস্যকের পরামর্শ নিতে হবে।
২। পালস অক্সিমিটারের সাহায্যে রোগির পালস রেট পরিমাপ করে তারপর প্রয়োজন হলে কনসেনট্রেটর ব্যবহার করতে হবে।
৩। রোগির জন্য কতটুকু অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে সে অনুযায়ী পূর্বেই অক্সিজেন কনসেনট্রেটরে নির্ধারণ করে দিতে হবে।
৪। প্রতি ১ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করলে ফুসফুসে ২৪% অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় সে অনুযায়ী হিসেব করে সেট করতে হবে।

৫। পাওয়ার ব্যাকআপ রাখলে ভাল হয় কারণ এটি চালাতে ইলেক্ট্রিসিটির প্রয়োজন হয়। যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তবে এটি বন্ধ হয়ে যাবে। 

৬। কনসেনট্রেটর এর ক্ষমতা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। এর মেয়াদ পার হয়ে গেলে নতুন করে এর উপাদান সরবরাহ করতে হবে।

৭। রোগীর অক্সিজেনের পরিমাণ নিয়মিত মাপুন। সাথে অতিরিক্ত ছোট অক্সিজেন বোতল রাখুন, কোন কারণে এটি কাজ না করলে যেন ব্যাকআপ হিসাবে সেটি  ব্যবহার করা যায়।

৮। রোগীর শ্বাসকষ্ট বেশি হলে এটি কাজ নাও করতে পারে তখন পিউর অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করুন অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: January 11, 2022
Reviews (0) Write a Review