চুল মানুষের শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটা স্বাভাবিক মানুষের মাথায় যদি চুল না থাকে তাহলে তার সৌন্দর্য্য পরিপূর্ণ ভাবে ফুটে উঠে না। তাই মাথায় চুলের জন্য মানুষ কত ধরনের স্যাম্পু, তেল, সাবান ব্যবহর করে। যদি মাথায় চুল থাকে তাহলে নিজের ইচ্ছে মত করে চুল রাখা যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে মাথায় চুল ধরে রাখাটা। আবহাওয়ার উপরে অনেকটাই নির্ভর করে মাথার চুল। যদি আপনার চুল পড়ার সমস্যা থাকে তাহলে চুলের যত্নের জন্য করনীয় কী? আজকের আলোচনার বিষয় কিভাবে মাথার চুল পড়া বন্ধ করা যায় বা চুল পড়া বন্ধ করার উপায়।
১। খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তনঃ
প্রত্যেক মানুষের জিবনে বিভিন্ন ধরনের শাররীক সমস্যা দেখা দেয় আর এই সমস্যার মূলে থাকে তার খাদ্য অভ্যাস বা প্রতিদিনের লাইফস্টাইল। অতিরিক্ত চুল পড়া একটি মারাত্মক সমস্যা। এই সমস্যার সৃষ্টির পেছনে মূল কারণ হচ্ছে প্রতিদিনের খাদ্য অভ্যাস। যদি প্রতিদিনের খাদ্য অভ্যাসের মধ্যে ধুমপান, এলকোহল, জাংক ফুড, কাচা ডিম, সোডা এই ধরনের খাবার থাকে তাহলে চুল পড়াটাই স্বাভাবিক। যতটুকু সম্ভব এই সকল খাবার এড়িয়ে চলা। এর বিপরীতে যে সকল খাদ্য খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে তা হচ্ছে,প্রচুর পরিমানে পনি পান করা,বেশি বেশি সবুজ শাক-সবজি ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার।
২। পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমঃ
একটি স্বভাবিক মানুষের দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত পরিমানের চেয়ে কম ঘুম হলে মাথার চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চুল পড়া কমাতে সঠিক সময়ে ঘুমানো ও পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৩। মাথায় গরম পানি ব্যবহার না করাঃ
গরম পানি চুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মাথায় গরম পানি ব্যবহার করার ফলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় ফলে চুল পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪। হেয়ার ড্রেয়ার ব্যবহারঃ
চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রেয়ার ব্যবহার না করাই সবচেয়ে উত্তম। হেয়ার ড্রেয়ারের বাতাস গরম থাকে ফলে এর বাতাস চুলের জন্য ক্ষতিকর।
৫। মাথায় তেল ব্যবহার করাঃ
বর্তমান সময়ে মাথায় তেল ব্যবহার না করাটা একটা নতুন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। মাথায় তেল না ব্যবহার করলে চুলের গোড়া রুক্ষ ও শুষ্ক হয় ফলে চুল পড়ে। এর জন্য সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ মাথায় তেল দেওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে চুল পড়া কমে যাবে।
৬। শ্যাম্পুর ব্যবহার না করাঃ
কেমিক্যাল শরিরের ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। প্রায় প্রত্যেক শ্যাম্পুর ভিতরে পর্যাপ্ত পরিমানে কেমিক্যাল থাকে যা মাথার ত্বককে নষ্ট করে ফেলতে পারে। তাই যতটুকু সম্ভব কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
৭। নিমপাতার ব্যবহারঃ
মাথায় খুশকি হলে এর জন্য সবচেয়ে কার্যকারী উপাদান হচ্ছে নিমপাতা। যেহেতু খুশকি এক ধরনের ছত্রাক তাই এটি নিম পাতার সাহয্যে দূর করা যায়। নিম পাতা বেটে পেষ্ট তৈরি করে মাথায় দিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেললে ছত্রাক সহ সকল প্রকারের জীবাণু ও ছত্রাক চলে যাবে।
৮। পেয়াজের রসঃ
চুল পড়া বন্ধে পেয়াজের রস কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। যাদের মাথায় প্রচুর পরিমানে চুল পড়ে তাদের জন্য পেয়াজের রস খুবই কার্যকারী। এর ব্যবহার পদ্ধতি অনেক সহজ । কাচা পেয়াজ ভালোভাবে বেটে পেষ্ট তৈরী করে বা রস বের করে দীর্ঘ সময় মাথা দিয়ে রাখলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এর জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময় হচ্ছে রাত। রাতে মাথায় দিয়ে সকালে উঠে ধুয়ে ফেললে ঝামেলা মুক্ত।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: November 14, 2021