আমাদের পারস্পারিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল ফোন। বর্তমানে, বাজেট ও চাহিদা অনুযায়ী আমাদের দেশের বাজারে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মিনিফোন, বাটনফোন এবং স্মার্টফোন স্বল্প দামে পাওয়া যায়। এই ধরণের মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সারাবিশ্বের আনাকানাচে সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা সহজেই জানতে পারি। তাছাড়া, এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করে গেম খেলা, অডিও ও ভিডিও দেখা, ছবি তোলা, ভিডিও করা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের কাজ আমরা প্রতিনিয়ত করে পারি। এছাড়াও, মোবাইল আমাদের এতটাই নিত্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস হয়ে গিয়েছে যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সব সময় সাথে বহন করে থাকি। তবে, নিয়মিত মোবাইল ব্যবহারে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা খুবই জুরুরি, যা আপনাকে রাখবে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। তাহলে, চলুন মোবাইল ফোন ব্যবহারে কিছু সতর্কতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
মোবাইল ফোন ব্যবহারে কিছু সতর্কতা
১। আপনার মোবাইলের স্ক্রীন অবশ্যই ভাল মানের হতে হবে যেন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আপনার চোখের ক্ষতি করতে না পারে।
২। আমরা ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ক্রল করার সময় মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের খুব কাছে থেকে দেখে থাকি। ফলে আমাদের চোখের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। বিশেজ্ঞদের মতে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিনিমাম ১৬ ইঞ্চি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি, প্রতি ২০ মিনিট পর পর ডিসপ্লেতে টানা তাকিয়ে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩। চার্জ করার সময় মোবাইল ফোন যথা সম্ভব অফ রাখা উচিত। ফলে, ফোনের ব্যাটারি ভালো বেক আপ প্রদান করার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
৪। মোবাইল ফোনের ব্যাটারি লো থাকা অবস্থায় মোবাইল নেটওয়ার্কে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও, মোবাইল চার্জে দিয়ে ফোনে কথা বলা কিংবা অন্য কোন কাজ খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া না করা উত্তম।
৫। ঘুমানোর সময় মাথার কাছে মোবাইল চার্জ করবেন না। তাহলে, অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ধরণের দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকতে পারবেন।
৬। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে মোবাইলের ব্যাটারি কার্যকারিতা শেষ হয়ে একটা সময় ফুলে যায়। এই অবস্থায় দ্রুত মোবাইল ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করতে হবে, নয়তো এটি যে কোনো সময় ফেটে গিয়ে যেকোন দুর্ঘটনা সৃষ্টি করতে পারে।
৭। দীর্ঘসময় ব্যবহারের ফলে মোবাইল গরম হয়ে থাকে। তাই, মোবাইল চার্জ দেওয়ার আগে অবশ্যই ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
৮। মোবাইল কথা বলার ক্ষেত্রে সরাসরি কানে নিয়ে কথা না বলে হেডফোন কিংবা স্পীকারে কথা উচিত। ফলে, আপনার কানের শ্রবণশক্তি স্বাভাবিক অবস্থা বজায় থাকবে।
৯। আপনার মোবাইলের স্ক্রিন যদি গরিলা গ্লাস ৩/৪ এর মত প্রটেকশন গ্লাস দেওয়া থাকে, সেক্ষেত্রে সস্তা সুরক্ষা গ্লাস ব্যবহার না করাই ভালো। তবে, যদি প্রটেকশন গ্লাস না থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি মানসম্পন্ন পর্দা উপভোগ করতে পারবেন না।
১০। আপনার স্মার্টফোনটি দীর্ঘ সময়ের জন্য বাচ্চাদের দেবেন না কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে। বিশেষ করে বাংলাদেশে, এটি অভিভাবকদের জন্য একটি বড় সমস্যা।
১১। এছাড়াও, রাতের বেলায় মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ আমরা অনেকেই রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত সময় পার করে থাকি। যার ফলে আমাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। ফলে, একটা সময় পর শরীরে নানান ধরনের শারীরিক সমস্যা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা যায়।
উপরোক্ত সতর্কতা সমূহ মেনে মোবাইল ব্যবহার করলে আপনি নিজে এবং পরিবারের ছোট বাচ্চা ও অন্যান্য সদস্যদের নিরাপত্তা নিরাপদ থাকবে।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: August 22, 2024