কেউ প্রয়োজনের তাগিতে আবার কেউ বা শখের বশে গাড়ি কেনে। বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের গাড়ি দেখা যায়। সকল ব্র্যান্ডের কারের সম্পর্কে সবার ধারণা সমান ভাবে থাকে না। তাই আজকে আমরা বাংলাদেশের মধ্যে যে সকল গাড়ির জনপ্রিয় ব্র্যান্ড আছে এর ১০ টি ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানবো। আর নতুন, পুরাতন, রিকন্ডিশান গাড়ির দাম বিডিস্টল.কম ওয়েবসাইটে দেখে নিতে পারেন।
১। টয়োটা
শধুমাত্র বাংলাদেশ নয় সাড়া পৃথিবীতে টয়োটা কার একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। দক্ষিন এশিয়ার প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ বাজার দখল করে আছে টয়োটা কার। সময়ের সাথে মানুষের চাহিদা পূরণ করতে টয়োটা বিভিন্ন ক্যাটাগরির কার বাজারে নিয়ে আসে। এর ভিতরে অল্প দামের, মাঝারি দামের, উচ্চ দামের অনেক গাড়ি বর্তমান বাজারে আছে। টয়োটা তার সকল গাড়িতে শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করে। এর যন্ত্রাংশ খুচরা ও পাইকারি হিসেবে বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গার পাওয়া যায়। যার ফলে এই গাড়ির জপ্রিয়তা অনান্য গাড়ির চেয়ে তুলনামূলক বেশি।
২। হোন্ডা
হোন্ডা বাংলাদেশের ভিতরে টয়োটার পরে দ্বিতীয় জনপ্রিয় কার হিসেবে ধরা হয়। দিনে দিনে হোন্ডা কার এর বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে হোন্ডা অন্যান্য ব্র্যান্ডের গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতা করছে। এর বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় সাশ্রয়ী ফুয়েল, শক্তিশালী পাওয়ারট্রেন ও নির্ভরযোগ্য ডিজাইন। জাপানি হোন্ডা দীর্ঘদিন ধরে বাজারে থাকেলও তেমন বাজার দখল করতে পারেনি তবে বর্তমানে এর অগ্রগতি তুলনামূলক অনেক বেশি।
৩। নিশান
ইঞ্জিনের দিক থেকে নিশান এর কার অন্যতম। এই ব্র্যান্ডের গাড়ির দাম মাধ্যম থেকে উচ্চমানের হয়। নিশানের পূর্বের মডেল গুলোর দাম কম হলেও আধুনিক কারের দাম পুর্বের চেয়ে কিছুটা বেশি কারণ এর মধ্যে মধ্যে রয়েছে ফরোয়ার্ড কলিশন ওয়ার্নিং এবং অটোম্যাটিক ইমার্জেন্সি ব্রেক যা দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা উন্নত নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।
৪। সুযুকি
বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রনে সুযুকি মটরস পরিচালিত হয়ে আসছে। সুযুকির বিভিন্ন আকৃতির কার বর্তমান বাজারে আছে। অনান্য কারের চেয়ে সুযুকি কার এর আকার কিছুটা ছোট ও দাম তুলনামূলক অনেক কম।
৫। হুন্দাই
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে হুন্দাই কার। কোরিয়ান কোম্পানির কারের বিশেষত্ব হচ্ছে কারের পারফর্ম্যান্স, আকর্ষনীয় ফিটিং ও ফিনিশিং। এছাড়াও হুন্দাই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাও অনেক। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের গাড়িগুলোর মধ্যে হুন্দাই কার এর ব্র্যান্ড একটি। অনেকেই মনে করেন যে ভবিষ্যতে আরও ভাল, স্মার্ট, ও টেকসই কার হিসেবে হুন্দাই বাজারে প্রবেশ করবে।
৬। অডি
জার্মান লাক্সারি ব্র্যান্ড হচ্ছে অডি। স্ট্যান্ডার্ট লেভেলের মানুষের জন্য একটি আদর্শ কার হচ্ছে অডি। কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে সহজ ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য কারের মধ্যে এটি একটি। এর অভ্যন্তরের রয়েছে আকর্ষনীয় ডিজাইন ও ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম। সময়ের সাথে সাথে তাদের প্রত্যেক গাড়িতে নিয়ে আসে নতুন নতুন ফিচার। অডি কার এর জন্য রয়েছে বিশাল লাইন আপ এবং ফুয়েল সাশ্রয়ীর সুবিধা।
৭। বিএমডব্লিউ
বিলাস বহুল গাড়ির ব্র্যান্ডের মধ্যে জার্মানির প্রস্তুতকারক বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ড একটি অন্যতম। যে সকল দিক থেকে বিএমডব্লিউ কে বিলাসবহুল হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার মধ্যে অন্যতম দিক হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, জ্বালানী দক্ষতা, আরাম দায়ক ভ্রমন এবং পরিমার্জন পাওয়ারট্রন। জার্মানীর এই কোম্পানি সম্পূর্ণ ইউনিক ডিজাইন দিয়ে গাড়ি নির্মান করে থাকে যা অন্যান্য গাড়িতে থেকে আলাদা। এর উৎপাদনের প্রধান ফোকাস হচ্ছে আধুনিক ডিজিটালাইজেশন, স্থায়িত্ব ও উৎপাদন প্রযুক্তি। এ কারণে তুলনামূলক বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়ির দাম বেশি হয়ে থাকে।
৮। সুবারু
সুবারু কার একটি জাপানিজ ব্র্যান্ডর কার। বহির্বিশ্বে এর চাহিদা ব্যপক থাকলে বাংলাদেশেও এর চাহিদা দিনে দিনে বেরে চলেছে। দুরের রাস্তা ভ্রমন করার জন্য এটি উপযুক্ত কার। অন্যান্য ব্র্যান্ডের কারের মতো এর আকার তেমন একটা বড় হয় না। এর ডিজাইনের সাথে বিএমডব্লিউ এর সাথে কিছুটা মিল খুজে পাওয়া যায়। তবে এর অভ্যন্তরে ও বাহ্যিক দিকে খুবই সুক্ষ্য কাজ করা থাকে। নিরাপদ ড্রাইভিং এর ক্ষেত্রে সুবারু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৯। টাটা
অটোমোবাইল জগতে টাটা একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের নাম। টাটা মূলত শুরুর দিকে ফোর হুইলার তথা, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, স্টাফ বাস তৈরি করলেও বর্তমানে কার এর উৎপাদন শুরু করেছে। গ্রাহকের চাহিদার উপর লক্ষ্য রেখে ছোট আকারের গাড়ি উৎপাদন শুরু করে। এর মধ্যে টাটা ন্যানো, ইন্ডিগো, ন্যাক্সন ইত্যাদি গাড়ি উল্লেখযোগ্য। তবে টাটা গাড়ির দাম অন্যান্য ব্রান্ডের চেয়ে অনেক কম।
১০। মার্সিডিজ-বেঞ্জ
মার্সিডিজ-বেঞ্জ আরাম দায়ক গাড়ির ব্র্যান্ড গুলোর মধ্যে এটি একটি। বহির্বিশ্বে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সরকারি কাজে ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে মার্সিডিজ-বেঞ্জ কার ব্যবহার করতে দেখা যায়।এর অন্যতম দিক হচ্ছে প্লাশ, বিলাসবহুল রাইড, আকর্ষনীয় ইন্টিরিওর, স্টাইলিং আকৃতি এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা ক্রেতাকে আকর্ষণ করে।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: November 14, 2021