প্রযুক্তির স্পর্শে মানুষ আজ সভ্যতার চূঁড়ায় বিচরন করছে। ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমরা প্রযুক্তির আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে থাকি। জীবনকে সহজ ও নির্বিঘ্ন করে গড়ে তোলার পেছনে প্রযুক্তির অবদান অস্বীকার্য নয়। এখানেই শেষ নয়, মৃত্যুর পরেও এই প্রযুক্তিই হবে আমাদের সহায় হবে। যুগ যুগ ধরেই প্রায় সব মানুষের ভাবনা মৃত্যুর পর এই সহায়-সম্পত্তি কিভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা যায়? কিভাবে এর যোগ্য উত্তরসূরী এগুলো গ্রহন করতে পারবে? কিভাবে উত্তরসূরীদের কাছে পূর্বপুরুষের পরিচয় দেয়া যাবে? ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য, ই-মেইল ঠিকানা- এসবও খুব গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ৷ তাই মৃত্যুর পর এসবেরও একটা উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে ।
এই প্রশ্নের সমাধান এনে দিয়েছে চিরবিশ্বস্ত বন্ধু গুগল দলিল, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি এগুলো সবই দায়িত্ব নিয়ে রক্ষা করবে গুগল। শুধু তাই নয়, যোগ্য উত্তরসূরীর কাছে উপযুক্ত সময়ে হস্তান্তরও করবে। সম্প্রতি গুগোল " ইন্যাক্টিভ অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার " নামে বিশেষ একটি সার্ভিস শুরু করেছে। যার মাধ্যমে মানুষ চাইলে গুগল ড্রাইভ, জিমেইল, ইউটিউব বা গুগল প্লাস থেকে নিজের সমস্ত ছবি এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কারো জন্য রেখে যেতে পারবে। খুব সহজেই হয়ে যাবে কাজটা৷ আগে শুধু ঠিক করতে হবে মৃত্যুর পর কে পাবে এই অধিকার৷ সে অনুযায়ী গুগলকে জানিয়ে দিতে হবে তার নাম আর বর্তমান অবস্থা৷ অবশ্য কেউ তো মৃত্যুর সঠিক সময় জানে না, তাই জানাতে হবে অ্যাকাউন্ট টানা কতদিন ব্যবহৃত না হলে গুগল ‘প্রয়াত' ধরে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারে। ছয় মাস বা ছয় বছর, যতদিন স্থির করা হবে সময়সীমা ততদিনই গুগোল এইগুলো সংরক্ষন করবে। তার পর সময়সীমা শেষ হবার সাথে সাথে পৌঁছে যাবে নির্ধারিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের কাছে।
কেউ যদি মৃত্যুর পর অ্যাকাউন্টই না রাখতে চায় তাহলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে গুগলই বন্ধ করে দেবে অ্যাকাউন্ট। এর ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য ও বস্তু রক্ষা পাবে অসৎ ব্যাক্তিদের হাত থেকে।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: July 29, 2013