আপনি যখন কোন মার্কেট বা দোকান থেকে একটি নতুন পণ্য ক্রয় করেন তখন পণ্যটির সাথে প্রায় সময়ই ওয়ারেন্টি নামক একটি বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়। এই সুবিধার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া থাকে। ওয়ারেন্টি শব্দটির মানে হল ওই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যদি আপনার ক্রয়কৃত পণ্যে কোন প্রকার সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহলে নির্দিষ্ট বিক্রেতা কর্তৃপক্ষ সেটি মেরামত করে দিবে। বাংলাদেশে সাধারণত নিচে বর্ণিত ওয়ারেন্টিগুলোর প্রচলন আছে।
ওয়ারেন্টিঃ এই ধরনের ওয়ারেন্টিতে পণ্যে কোন প্রকার সমস্যা হলে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিক্রেতা কর্তৃপক্ষ নিজেদের দায়িত্বে সেটি মেরামত করে দিবে। এক্ষেত্রে শ্রম অথবা কোন পার্টস প্রয়োজন হলে দুটোর ব্যায়ভারই বিক্রেতা কর্তৃপক্ষ নিজে বহন করতে বাধ্য থাকবে।
সার্ভিস ওয়ারেন্টিঃ এই ধরনের ওয়ারেন্টিতে ক্রেতার ক্রয়কৃত পণ্যে কোন সমস্যা হলে বিক্রেতা কর্তৃপক্ষ সেটি মেরামত করে দিবে। তবে এক্ষেত্রে কোন পার্টসের প্রয়োজন হলে তার খরচ ক্রেতাকেই বহন করতে হবে।
লিমিটেড ওয়ারেন্টিঃ এই ধরনের ওয়ারেন্টিতে বিক্রেতা কর্তৃপক্ষ ওয়ারেন্টি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। যেমন বিভিন্ন পার্টস সিলেক্ট করে দেওয়া থাকে। নির্দিষ্ট ওই পার্টসগুলোতে সমস্যা হলে তবেই কেবল আপনি ওয়ারেন্টি পাবেন। তবে ওই পার্টস ব্যতীত অন্য কোন সমস্যা হলে এক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি প্রযোজ্য হবে না।
রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টিঃ এই ধরনের ওয়ারেন্টিতে পণ্যে কোন প্রকার সমস্যার সৃষ্টি হলে বিক্রেতা কর্তৃপক্ষ আপনাকে ওই পণ্যের বদলে নতুন একটি পণ্য দিয়ে দিবে।
লাইফ টাইম ওয়ারেন্টিঃ লাইফ টাইম ওয়ারেন্টি বলতে ওই পণ্য যতদিন বাজারে থাকবে ততদিন পর্যন্ত আপনি এই পণ্যের ফুল ওয়ারেন্টি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যখনই পণ্যটি বাজারে বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। তখনই পণ্যটির ওয়ারেন্টির মেয়াদকালও শেষ হয়ে যাবে।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: July 09, 2024