ক্যামেরা লেন্স কেনার আগে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করবেন। ক্যামেরা লেন্সের সাথে জুম শব্দটিও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কত দূরে ছবি তুলবেন সেটা নির্ভর করে একটি ক্যামেরা লেন্সের উপর। ক্যামেরার লেন্সের দুইটি মাপ থাকে, একটি দূরের মাপকে বলে টেলিফটো এবং অপরটি কাছের মাপকে বলে ওয়াইড।
ফটোগ্রাফিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা লেন্স। আর এগুলো আপনার বাজেট এবং চাহিদা অনুযায়ী কিনতে পারেন।
টেলিফটো লেন্সঃ
টেলিফটো লেন্স সাধারণত ২০০ মিমি থেকে ৩০০মিমি দীর্ঘ হয়। গ্ল্যামার, ফ্যাশন-শো, পোট্রেট ইত্যাদি বিষয়ের ছবি তোলার জন্য টেলিফটো লেন্স ব্যবহার হয়।
সুপার লেন্সঃ
সুপার লেন্স সাধারণত ৪০০ মিমি থেকে ৮০০ মিমি দীর্ঘ হয়। সুপার লেন্স মূলত পাখি, স্পোর্টস, সাংবাদিকতা ইত্যাদির বিষয়ের ছবি তুলার জন্য ব্যবহার হয়।
প্রাইম লেন্সঃ
৫০ মিমি ফোকাল লেন্সের লেন্সকেই প্রাইম লেন্স বলে। এই লেন্সের তিন ধরনেরে অ্যাপারচার নাম্বার হয়। এফ/১.২, এফ/১.৪, এফ/১.৮। প্রাইম লেন্স সাধারণত শিক্ষানবিশ আলোকচিত্রীদের জন্য একটি আদর্শ লেন্স। ৫০ মিলি মিটার প্রাইম লেন্সের ছবি অনেক বেশি জীবন্ত মানের হয়।
ওয়াইড অ্যাঙ্গেল জুম লেন্সঃ
ওয়াইড অ্যাঙ্গেল জুম লেন্স ফটোসাংবাদিকতায় বেশি ব্যবহার হয়। সাধারণত ইএফ ১৬ থেকে ৩৫ মিমি দীর্ঘ হয়ে থাকে। অ্যাপারচার এফ/২.৮ যেটা পেশাদার আলোকচিত্রীদের অনেক বেশি পছন্দের।
ফিশ আই লেন্সঃ
ফিশ আই লেন্সের মাধ্যেমে ১৮০ ডিগ্রি কোন পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়। একটি ছোট বস্তুকে খুব সহজেই অতি দানবের মতো দেখা যায়। বিশেষ করে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ছবি তুলতে ফিস আই লেন্স অনেক বেশি ব্যবহার হয়।
ম্যাক্রো লেন্সঃ
ম্যাক্রো লেন্স খুব কাছে থেকে মৌমাছি, ছোট ফুল, শিশির বিন্দু কিংবা পোকা মাকড়ের মতো প্রানীর ছবি খুবিই চমৎকার ভাবে তুলা যায়। ৫০ মিমি, ৮৫ মিমি, ১০০ মিমি, ১০৫ মিমি, ১৩৫ মিমি লেন্স হয়। ১৩৫ মিমি লেন্স সাধারণত প্রজাপতি, মৌমাছি ইত্যাদি অনেক সুক্ষ কারুকাজের ছবি তোলার জন্য ব্যবহার হয়।
বাজারে টেলিফটো লেন্সের মূল্য ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লাখ টাকা মধ্যে কিনতে পারবেন। আবার প্রাইম লেন্সের জন্য ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: February 17, 2021