bdstall.com

বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা

ক্যামেরার ব্যবহার আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। এসব ক্যামেরাগুলো দিয়ে ফোটো তোলা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। আজ বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা কি কাজে লাগে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

 

spy camera

 

স্পাই ক্যামেরা

স্পাই ক্যামেরা কে গুপ্তচর বা লুকানো ক্যামেরা বলা হয়ে থাকে। আপনি এই ক্যামেরা ব্যবহার করার মাধ্যমে গোপনে অনেক কাজ করা যায়। স্পাই ক্যামেরা ক্যামেরা ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। চাইলে এই সকল সুবিধা গুলোর জন্য স্পাই ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমান সময়ে স্পাই পেন ক্যামেরা, স্পাই বাটন ক্যামেরা, স্মার্ট ওয়াচ ছাড়াও আরো অনেক ডিভাসের সাথে স্পাই ক্যামেরা যুক্ত করা থাকে। স্পাই ক্যামেরা ব্যবহারের কিছু সুবিধাসমূহ হলোঃ

 

১। স্পাই ক্যামেরার মাধ্যমে আপনার অফিস অ্যাপার্টমেন্ট, বাড়ি, গুরুত্বপূর্ণ স্থান সবকিছুর উপড় গোপনে নজরদারি করতে পারবেন।

২। স্পাই ক্যামেরা ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোন কিছু ছবি, ভিডিও ধারণের পাশাপাশি শব্দও রেকর্ড করা যায়।

৩। স্পাই ক্যামেরার খুব ছোট হয় এবং আকার ক্যামেরার মত দেখতে হয় না বিধায় একে সনাক্ত করা খুব কঠিন। তবে কিছু এন্টি স্পাই ক্যামেরা ডিটেক্টর আছে যেগুলো দিয়ে এই ধরনের ক্যামেরা সনাক্ত করা যায়।

 

Night vision Camera

 

নাইট ভিশন ক্যামেরা 

নাইট ভিশন ক্যামেরা টি সম্পূর্ণ অন্ধকারে কাজ করার জন্য সক্ষম একটি ক্যামেরা। নাইট ভিশন ক্যামেরা তে লেন্সের পাশে কতগুলো ইনফারেড এলইডি লাইট ও সেন্সর থাকে যা সাধারণত রাতের অন্ধকারে ছবি তোলার সময় জ্বলে ওঠে। ছোট নাইট ভিশন ক্যামেরার মধ্যে এসকিউ-১১, এসকিউ-১২ এবং এসকিউ-১৬ ছাড়াও আরো অনেক মডেল রয়েছে। নাইট ভিশন ক্যামেরার কিছু সুবিধা রয়েছে যেমনঃ

 

১. নাইট ভিশন ক্যামেরার মাধ্যমে আপনি অন্ধকারে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের ওপর নজরদারি রাখতে পারবেন। 

২. নাইট ভিশন ক্যামেরা অন্ধকারে কাজ করে তবে ভিডিও সাদাকালো রেকর্ড হয়।

Mini IP Camera

 

আইপি ক্যামেরা 

আইপি ক্যামেরা হচ্ছে এক ধরনের ইন্টারনেট প্রটোকল ক্যামেরা। আর আইপি ক্যামেরার ছোট সংস্করণকে বলা হয়ে থাকে মিনি আইপি ক্যামেরা। আইপি ক্যামেরার মধ্যে রয়েছে যেগুলো ছোট সেগুলো সাধারণত ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা হয় বিধায় একটি আইপি ক্যামেরা দিয়েই সবদিকে ভিডিও করা যায়। আইপি ক্যামেরার কিছু সুবিধাঃ

 

১। আইপি ক্যামেরা বহনযোগ্য হওয়ায় যেকোন জায়গায় সহজেই সেট করা যায়।  

২। আইপি ক্যামেরার মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে লাইভ নজরদারি করা যায়।

৩। অনেক আইপি ক্যামেরার জন্য আলাদা করে হার্ডডিক্স বা রেকর্ডিং মেশিন কিনতে হয় না কারণ সাথেই থাকে। আর দামেও এগুলো বেশ সস্তা। 

 

Digital Camera

 

ডিজিটাল ক্যামেরা 

ডিজিটাল ক্যামেরা হচ্ছে এমন একটি ক্যামেরা যেখানে সনাতনী ফিল্ম ব্যবহৃত হয় না, বরং এর বদলে মেমোরি চিপ এর মধ্যে ছবি ধারণ করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। ডিজিটাল ক্যামেরাগুলোকে সাধারণত কমপ্যাক্ট ক্যামেরা বলা হয়ে থাকে। এগুলো ব্যবহার যেমন সহজ আর দামেও বেশ কম। বেড়াতে গেলে এই ক্যামেরা খুব ছোট হওয়ায় পকেটে বহন করা যায়। তবে বর্তমানে মোবাইল ক্যামেরার উন্নতি হওয়ায় এর কদর কিছুটা কমেছে। তবে রাতে ছবি তুলতে এর জুড়ি নেই কারন মোবাইলের ক্যামেরা দিনে ভাল ছবি তুলে। আরও কিছু সুবিধাঃ

 

১। ডিজিটাল ক্যামেরার লেন্স গুলো জুম সম্পন্ন অনেকটা যার কারণে কাছে থেকেই অনেক দূরের ছবি তুলা যায়। 

২। ডিজিটাল ক্যামেরাতে অনেক ক্ষেত্রে ভিউফাইন্ডার থাকে যার কারনে উজ্জ্বল আলোতেও ছবি তুলতে কোন ধরনের সমস্যা হয়না এবং ভালো ছবি উঠে থাকে।

৩। ডিজিটাল ক্যামেরার মাধ্যমে অনেক ফিচার ম্যানুয়ালি কন্ট্রোল করা এবং অনেক সময় অটো মুডে ডিএসএলআর মত ছবি প্রদান করে।

৪। প্রফেশনাল ছবি তুলতে বিশেষ ধরনের ক্যামেরা আছে যেগুলোকে ডিএসএলআর বলে। এই ধরনের ক্যামেরায় আলাদা করে লেন্স যুক্ত করা যায়। আর ক্যামেরাগুলো একটু বড় আকারের। তবে আধুনিক কিছু ক্যামেরা আছে তুলনামূলক ছোট।  

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: December 22, 2021
Reviews (0) Write a Review