bdstall.com

খেজুরের গুণাগুণ ও উপকারিতা

খেজুর আমাদের দেশে অতি পরিচিত একটি ফল। খেজুরে শরীরে প্রচুর পরিমানে শক্তি উৎপাদন করে। এতে রয়েছে প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, শর্করা, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, গ্লুকোজ ও মিনারেল। রামাযান মাসে প্রতিদিনের সিয়াম রাখলে দীর্ঘ সময় খালি পেটে খালি থাকায় দেহে প্রচুর পরিমানে গ্লুকোজের ঘাটতি হয়।  ফলে সিয়াম শেষে খেজুর দিয়ে ইফতারি করলে শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি যোগান দিতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরণের খেজুর বাংলাদেশে কম দামে পাওয়া যায়। এছাড়াও খেজুরে আর কি কি পুষ্টিগুন সম্পন্ন উপাদান আছে জেনে নেওয়া যাকঃ-  

 

 

 

 ভিটামিনঃ  খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ১, বি১, বি২, বি৩, বি৫ এবং সি। এই ভিটামিন গুলোর  মধ্যে ভিটামিন এ১ ও সি এর পরিমান বেশি থাকে ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় ও ভিটামিন সি এর অভাব পূরন করতে পারে।   

 

প্রোটিনঃ আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন একটি অতি প্রয়োজনীয় ও  অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।   আর খেজুরের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ফলে শরিরের পেশীকে শক্ত ও মজবুদ করে।

আয়রণঃ খেজুরে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে যা মানব দেহের জন্য  খুবই উপকারি। আয়রন মানব দেহের হৃৎপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। খেজুরের কোন প্বার্শপ্রতিক্রিয়া না থাকায় ঔষধের চেয়ে ভালো কাজ করে।

 

ক্যালসিয়ামঃ  মানুষের শরীরের হাড় গঠন ও দাতের মারি শক্ত করতে সবচেয়ে বেশি পরিমানে ভূমিকা পালন করে ক্যালসিয়াম। আর এই মূল্যবান উপাদান খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমানে আছে। 

 

কোলেস্টেরল ও ফ্যাটঃ খেজুর একটি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন খাবার হলেও এর মধ্যে কোন কোলেস্টেরল ও চর্বি থাকে না। খেজুরে ফ্যাট বা চর্বি না থাকায় মানব দেহে কোন ক্ষতি করতে পারে না।   

 

নিয়মিত খেজুর খেলে মানবদেহে যে সকল উপকারতা আসবে তা হলঃ  

 

শক্তি তৈরিতেঃ খেজুরের খাদ্য উপাদানে প্রচুর পরিমানে শক্তি থাকায় দেহের শারীরিক ও মানসিক শক্তিসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। খেজুর ও খেজুর ফুলের পরগরেণু বন্ধ্যাত্ব দূর করে, ডিএনএর গুনগত মান ও শুক্রাণু বৃদ্ধি করে।    

 

হার্টের সমাধানঃ খেজুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে নিয়মিত সকালে পিষে খেলে হার্টের সুস্থতায় কাজ করে। এর জন্য নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।  

 

দুর্বলতার তাৎক্ষণিক সমাধানঃ শরীর খুব দুর্বল লাগছে দ্রুত কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিলে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি পাওয়া যাবে।

 

খাবারের রুচি বৃদ্ধিঃ খাবারের রুচি ফিরে আনতে খেজুর খাওয়া খুবই কার্যকারি একটি পদ্ধতি। রুচি বাড়ানোর জন্য খেজুর একটি অতুলনীয় উপাদান।

 

হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ খেজুরের মধ্যে থাকা খাদ্য উপাদান স্যলুবল, ইন্স্যলুবল ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যামিনো এসিডের জন্য খাদ্য সহজেই হজম হয়ে যায়।

 

ক্যান্সার নিরাময়ঃ খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি উপাদান খেজুরের মধ্যে থাকায় শরিরকে বিভিন্ন ধরনের মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার নিরাপদ রাখে।

 

কোষ্ঠকাঠিন্যে দূরঃ সাড়া রাত কেজুর পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেজুর ভিজানো পানি পান করলে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ মুক্তি পাওয়া যায়।

 

রক্তশূন্যতা থেকে রক্ষাঃ শরীরে লৌহ ও আয়রনের পরিমান কমে গেলে রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। খেজুর ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে লৌহ ও আয়রন থাকায় রক্তশূন্যতা রোধ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

 

স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়ঃ প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম বিদ্যমান থাকে যা মানুষের স্ট্রোক হওয়ার ভয়াবহতাকে ৪০% কমিয়ে দেয়।

 

কম দামে বাংলাদেশে ভাল মানের খেজুর কিনুন।

 

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: September 05, 2021
Reviews (0) Write a Review