প্রানের খোঁজ চালাতে ব্যাবহার করা হবে "ক্ষুদ্র সাবমেরিন"। সম্প্রতি বৃহস্পতি গ্রহের অন্যতম উপগ্রহ 'ইউরোপা'তে প্রানের অস্তিত্বের আভাষ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাই এই বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য লাভের জন্য ইউরোপাতে পাঠানো হবে বিশেষ এক ধরনের ক্ষুদ্র সাবমেরিন। জানা যায়,অতিশয় ক্ষুদ্রাকৃতির এই সাবমেরিনটি তৈরি করে উপশালা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো সিষ্টেম টেকনোলজি বিভাগের একটি গবেষক দল। এই দলটিতে আছেন এরিক এডকিউভিষ্ট,জোনাস জনসন,হুগো এন্যুয়েন এবং গ্রেগার থর্নাল। এই সাবমেরিনটি বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে বরফের হৃদসমূহ পরীক্ষা করার জন্য। সাবমেরিনটি এই সব হীম শীতল স্থানে বিচরন করে বেড়াবে এবং প্রানের অস্তিত্ব সনাক্ত করবে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং নাসার যৌথ উদ্দ্যোগে একটি প্রোজেক্ট শুরু করা হয়। যার পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ হীম শীতল "ইউরোপা" উপগ্রহের বরফের পুরুত্ব নির্ণয় এবং প্রানের অস্তিত্ব সন্ধানে কাজ করার কথা জানা। কিন্তু ইউরোপার প্রচন্ড ঠান্ডা এবং বিধ্বংসী আবহাওয়ার সামনে টিকে থাকার উপযোগী কোন যন্ত্র ছিলো না। ড্যাডু আবিষ্কৃত হওয়ায় এই সমস্যার অনেকাংশে সমাধান পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্যাটালাইট দীর্ঘ দিন ধরে ইউরোপার তথ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে এই সব তথ্য এবং চিত্র বিশ্লেষন করে গবেষক দল কয়েক হাজার বছর পূর্বে ইউরোপাতে প্রানের অস্তিত্ব ছিলো বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। যার ফলশ্রতিতে সেখানে গিয়ে গবেষনা করার উদ্দ্যোগ নেয়া হয়। ক্ষুদ্রাকৃতির এই ড্যাডু সাবমেরিন প্রচন্ড শীত এবং উত্তাপ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। এটি সম্পূর্ন তাপ কুপরিবাহী পদার্থ দিয়ে আবৃত। এছাড়া এর উচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যাটারী যেকোন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন কাজ করার ক্ষমতা রাখে। পথ নিদেশনার জন্য এতে আছে নেভিগেশন,উন্নত ধরনের ছবি তোলার জন্য শক্তিশালী ক্যামেরাও এতে ব্যাবহার করা হয়েছে,পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য বিশেষ ধরনের অপটিক কেবল সংযোজন করা হয়েছে ।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: November 22, 2013