মানব সমাজের উন্নতির সবথেকে বড় কারন হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি। প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থা থেকে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা পর্যন্ত পৌঁছাতে যে সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তা সম্ভব হতো না যদি এই যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন না হতো। শুধু তাই নয়, আজকের পৃথিবীর এতো পরিবর্তন, বৈচিত্র্য সবই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফসল। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রয়োজন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। গতির এই যুগে তাই আরো দ্রুত এবং সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা কথা বললেন স্পেসএক্স এবং টেসলা মোটরসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এলান মাস্ক। এক ইংরেজী জার্নালের ভাষ্য মতে এলান তার ট্যুইটার আইডি থেকে ঘোষনা দিয়েছেন খুব দ্রুতই তিনি উত্থাপন করতে যাচ্ছেন একটি নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা;যার নাম "হাইপারলুপ"। নতুন এই যোগাযোগ ব্যাবস্থাকে এলান 'ফিফথ মুড' বলে সম্বোধন করেছেন। বিশ্ববিখ্যাত এই প্রযুক্তিবিদ দাবী করেছেন এই যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা ট্রেনের মতো এবং এর মাধ্যমে একস্থান থেকে আরেক স্থানে পৌঁছানো যাবে প্রতি ঘন্টায় ৩৪২ মাইলস ( ৫৫২ কিমি/ ঘন্টা ) থেকে ৬৮৫ মাইলস ( ১১০২ কিমি/ ঘন্টা ) গতিবেগে। অর্থাৎ এই গতিবেগে ৬ ঘণ্টার একটি পথকে মাত্র ৪৫ মিনিটে অতিক্রমে করা যাবে। 'ইপারলুপ' নামক এধরনের একটি প্রযুক্তি আমেরিকার ব্যাংকগুলো অর্থের আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহার করে থাকে। তবে এটি হাইপারলুপের মতো এতো গতিশীল নয়। মাস্কের হাইপারলুপ পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি টিউব কয়েকটি দেশ অথবা শহরজুড়ে থাকবে। টিউবের ভেতর থাকবে ক্যাপসুল। এই ক্যাপসুলের মাধ্যমেই যাতায়াত করা হবে। তবে অবশ্যই টিউব ব্যবস্থাটি বায়ু শূন্য হতে হবে। ফলে কোনো প্রকার ঘর্ষণ শক্তি উৎপন্ন হবে না এবং কাঙ্খিত গতি পাওয়া যাবে। বর্তমানে পৃথিবীর সবথেকে গতিশীল যান হচ্ছে জাপানের "ম্যাগনাভ" নামক বুলেট ট্রেন। যা প্রতি ঘন্টায় ৩০০ মাইল গতিবেগে চলাচলের ক্ষমতা রাখে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হাই স্পিড যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োগ যেভাবে চলছে তাতে হাইপারলুপ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন হতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: November 14, 2013