bdstall.com

৩০,০০০ টাকার মধ্যে ৫টি জনপ্রিয় আইফোন মডেল

অ্যাপল কোম্পানির তৈরি আইফোন সারা বিশ্বে অনেক জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্রান্ড। আইফোন ব্যবহার করতে চায়না এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম। আইফোনের দাম অনেক বেশি হওয়ার কারণে সবার সামর্থ্য হয়না পছন্দের ফোন কেনার। তবে, অল্প বাজেটের মধ্যে হলে অনেকেই আইফোন ক্রয় করে তাদের ইচ্ছে পূরণ করতে পারবেন।

সর্বশেষ আইফোনের দাম এর তালিকা বিডিস্টল.কম-এ পাওয়া যাচ্ছে এবং আপনি অল্প বাজেটে কী ধরনের আইফোন কিনতে পারবেন তা জানতে পারবেন।। মূলত যে সকল আইফোন এর দাম ৩০,০০০ টাকার মধ্যে তার কয়েকটি মডেল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে এখান থেকে। তো চলুন, ৩০ হাজার টাকার ভিতরে ৫ টি জনপ্রিয় আইফোন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা নেওয়া যাবে এখান থেকে। ৫ টি আইফনের মডেল হচ্ছেঃ-

  • iPhone X
  • iPhone XS
  • iPhone XR
  • iPhone XS Max
  • iPhone 11

আইফোন X

৩ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে বাজারে প্রথম রিলিজ হয়েছিলো আইফোনের এই মডেলের ফোনটি। ফোনটি রিলিজ হওয়ার পর বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও এখনো অনেকেই এই ফোনটি কিনছে এর দামের কারণে। বর্তমানে একটি পুরাতন আইফোন এক্স এর দাম ২৩ হাজার টাকা। দামের সাথে এই ফোনে থাকা ফিচারগুলোর তুলনা করা হলে এই ফোনটি এখনো কেনা যায়। টাচ আইডি-র পরিবর্তে আইফোন এক্স-এ ফেস আইডি নামে একটি নতুন সিকিউরিটি ফিচার যোগ করা হয়েছিলো সেই সময়ে। ফেস আইডি যুক্ত করার কারণে আইফোন বেশ জনপ্রিয়তা কুড়াতে সক্ষম হয়েছিলো। আইফোন এক্স-এ একটি ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম রয়েছে, যা ছবির কোয়ালিটি আরও ভালো করে তোলে। এছাড়া, iPhone X এর ক্যামেরা দিয়ে Portrait মোড ব্যবহার করে প্রফেশনাল মানের ছবি তুলতে পারবেন।

 

আইফোন এক্স এ একটি শক্তিশালী এ11 বায়োনিক চিপ যুক্ত করা আছে। ফলে, এই ফোনটি চালানোর সময় ল্যাগ করা বা অন্য যেকোনো সমস্যা হবেনা। ফোনটি অনেক দ্রুত কাজ করতে পারে। আইফোন এক্স ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করার কারণে মোবাইল ফোনটি চার্জ করার জন্য ক্যাবল চার্জার প্রয়োজন হবেনা।

 

আইফোন XS

iPhone X রিলিজ হওয়ার পরের বছর iPhone XS রিলিজ হয় ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখে। এই ফোনটিতে একটি সুন্দর OLED ডিসপ্লে রয়েছে, যা অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং রঙিন। মুভি স্ট্রিমিং করা এবং ভিডিও দেখার জন্য এই ধরনের ডিসপ্লেযুক্ত ফোনগুলো ভালো পারফর্ম করে থাকে।

 

এই ফোনটি একটি শক্তিশালী এ১২ বায়োনিক চিপ যুক্ত করা হয়েছে। iPhone X এ ছিলো A11 বায়োনিক চিপ যা iPhone XS এ আরও আপগ্রেড করে A12 বায়োনিক চিপ যুক্ত করা হয়েছে। ফলে, iPhone XS এর তুলনায় এই ফোনে আরও ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে। এই ফোনটিতেও ডুয়াল ক্যামেরা যুক্ত করা আছে। ফলে, আপনি অনেক ভালো মানের ছবি তুলতে পাবেন iPhone এর XS মডেলের ফোনটি দিয়ে। আইফোন XS মডেলের ফোনগুলো বর্তমানে নতুন অবস্থায় কেনা যায়না। পুরাতন iPhone XS আইফোন মডেলের দাম ৩৫,০০০ টাকা। এই ফোনটির ভ্যারিয়ান্ট অনুযায়ী দাম কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

 

আইফোন XS Max

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ iPhone XS রিলিজ হওয়ার দিন একই সাথে iPhone XS Max মডেলের ফোনটি রিলিজ করা হয়। এই দুইটি মডেলের ফোনের মাঝে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। iPhone XS মডেলের ফোনটির তুলনায় XS Max মডেলের ফোনটিতে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা যুক্ত করা হয়েছিলো। এগুলো হচ্ছে - আইফোন XS এ ৫.৮ ইঞ্চি সুপার রেটিনা এইচডি ডিসপ্লে রয়েছে কিন্তু আইফোন XS Max এ ৬.৫ ইঞ্চি সুপার রেটিনা এইচডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এক্সএস ম্যাক্সের ডিসপ্লে এক্সএসের চেয়ে অনেক বড়, যার ফলে ভিডিও দেখা, গেম খেলা এবং মাল্টিটাস্কিং আরও সুন্দরভাবে করতে পারবেন। এছাড়া, আইফোন এক্সএস ম্যাক্স ফোনটিতে বড় ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে, বেশি সময় যাবত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম হবে এই ফোনটি।

 

আইফোন XS Max মডেলের একটি পুরাতন ফোন বর্তমানে ৩৪,৫০০ টাকার মাঝে পাওয়া যেতে পারে। যেহেতু এই মডেলের ফোনগুলো বর্তমানে নতুন অবস্থায় পাওয়া যায়না, তাই একটু যাচাই বাছাই করে বাজেটের মাঝে একটি আইফোন কিনতে পারবেন।

 

আইফোন XR

iPhone XS রিলিজ হওয়ার এক মাস পর iPhone XR মডেলের ফোনটি রিলিজ করা হয়। এই মডেলের ফোনটিতে ডুয়াল ক্যামেরা নেই, তবে A12 বায়োনিক চিপ, ভালো মানের ডিসপ্লে সহ অন্যান্য ফিচার যুক্ত করা রয়েছে। ডুয়াল ক্যামেরা না থাকলেও এই ফোনটি দিয়ে আপনি ভালো মানের ছবি তুলতে পারবেন।

 

আইপি৬৭ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স থাকার কারণে এই ফোনটিতে পানি পড়লেও তেমন ক্ষতি হবেনা। এছাড়া, এই ফোনটিতে টাচ আইডি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে, আপনার ফেস এর মাধ্যমেই ফোনটি আনলক করতে পারবেন। আইফোন XR মডেলের ফোনটি বিভিন্ন ভ্যারিয়ান্ট এ পাওয়া যায়। ভ্যারিয়ান্ট অনুযায়ী ফোনগুলোর দাম কম বেশি হয়ে থাকে। এই ফোনগুলো এখন নতুন হিসেবে পাওয়া যায়না। ইউজড iPhone XR মডেলটি ২৪,৭০০ টাকার মাঝে কিনতে পারবেন।

 

আইফোন 11

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে iPhone 11 মডেলের ফোনটি বাজারে রিলিজ করা হয়। তবে, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখ থেকেই ফোনটির প্রি মার্কেট শুরু হয়েছিলো। বর্তমানে এই ফোনটি ৩০ হাজার টাকা হলেই কিনতে পারবেন। প্রায় ৫ বছর আগে ফোনটি রিলিজ হলেও এই ফোনটির ফিচারগুলো এখনো অনেক ফোনে দেখা যায়না।

 

iPhone 11 মডেলের ফোনটিতে A13 বায়োনিক চিপ যুক্ত করা রয়েছে। ফলে, এই ফোনটি পূর্বের ফোনগুলোর তুলনায় ভালো পারফর্ম করবে। গেম খেলার সময় কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করার সময় অনেক ভালো পারফরম্যান্স পাবেন এই ফোন থেকে। আইফোন ১১-এ একটি ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম রয়েছে, যা আইফোন এক্সআরের চেয়ে ভালো মানের। এতে একটি ওয়াইড-এঙ্গেল এবং একটি আল্ট্রা ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স রয়েছে, যা ব্যবহার করে প্রফেশনাল মানের ছবি ক্যাপচার করতে পারবেন।

 

iPhone 11 ফোনটিতে নাইট মোড, স্লো-মোশন ভিডিও, ফেস আইডি, ওয়্যারলেস চার্জিং এবং আইপি৬৮ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স এর মতো অনেক ফিচার যুক্ত করা রয়েছে। আইফোনের পূর্বের ভার্সনগুলোর তুলনায় iPhone 11 অনেক ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারে এবং এতে অনেক আপডেট ফিচার যুক্ত করা রয়েছে। আইফোন 11 এ আরও ভাল মানের ব্যাটারি যুক্ত করা রয়েছে। এছাড়া, ফাস্ট চার্জিং থাকার কারণে দ্রুত সময়ে চার্জ হবে। এই ফোনটি বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট এ কিনতে পারবেন। একটি ইউজড আইফোন 11 এর দাম ৩১,২৯৯ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে, ভ্যারিয়ান্ট অনুযায়ী দাম কিছুটা কমবেশি হয়ে থাকে।

 

শেষ কথা

৩০,০০০ টাকার মধ্যে আইফোন কীভাবে কিনবেন এবং কোন কোন মডেলের আইফোনের দাম কম সেসব তথ্য বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্টে। যারা অল্প বাজেটের মাঝে আইফোন কিনতে চাচ্ছেন, তারা উপরোক্ত তালিকা থেকে যেকোনো একটি মডেলের ফোন কিনতে পারেন। এই ফোনগুলোর বর্তমান বাজার দর অনেকটাই কম হওয়ার কারণে ৩০ হাজার টাকার মাঝেই কিনতে পারবেন।

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: October 10, 2024
Reviews (0) Write a Review