ক্যান্সারের সর্বশেষ ভরসা হচ্ছে ক্যামথেরাপী। আধুনিক বিজ্ঞান তার অসাধারন বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ক্যান্সারের মত জটিল এবং ভয়াবহ ব্যাধিকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে ক্যামথেরাপীর বদৌলতে। উন্নত প্রযুক্তির বলে ক্যামথেরাপী ক্যান্সার নির্মুলের একশত ভাগ নিশ্চয়তা দান করছে। কিন্তু প্রবাদ আছে, কিছু পাওয়ার জন্য কিছু দিতে হয়। জীবন রক্ষাকারী এই ক্যামথেরাপী ক্যান্সার নির্মূলের প্রতিদান হিসেবে ছিনিয়ে নেয় যৌবনের জৌলুস। অত্যাধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামথেরাপী সব থেকে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো মাথার চুল পড়ে যাওয়া। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের একটা বড় অংশ শুধু মাত্র এই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য ক্যামথেরাপী নিতে অস্বীকৃতি জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় অবস্থিত দ্য ওয়েক ব্যাপ্তিষ্ট মেডিকেল সেন্টারের ক্যান্সার এবং ক্যামথেরাপী বিশেষজ্ঞ সুসান মেলিন জানান, অধিকাংশ রোগীই ক্যামথেরাপী চিকিৎসা নিতে বিব্রত বোধ করে কারন তারা কোন ভাবেই তাদের চুল হারাতে রাজী নয়। অনেক সময় ক্যামথেরাপী চিকিৎসা শেষ হওয়ার দীর্ঘ দিন পরেও নতুন চুল গজায় না। তাই জন সাধারনের মাঝে এই চিকিৎসা নিতে এক ধরনের কুন্ঠা কাজ করে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্টের একদল গবেষক এক ধরনের টুপি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে, যা এই চুল পড়া রোধ করতে সক্ষম। তারা এই টুপিটির নাম দিয়েছে ডিগনি ক্যাপ বা চিলি ক্যাপ। এই টুপিটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটি মাথা ঠান্ডা রাখতে সক্ষম। টুপিটিতে কিছু বিশেষ যান্ত্রিক সংযোগ আছে যা ৪১ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপেও মাথা এবং মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে সক্ষম। শুধু তাই না, এই টুপিটি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াও নিয়ন্ত্রন করতে পারে। সম্প্রতি এই টুপিটি নিয়ে ইউরোপ এবং কানাডায় ব্যাপক গবেষনা চালানো হয়। গবেষক দল তাদের প্রতিবেদনে জানায়, এই টুপিটির ব্যাবহার যথেষ্ট নিরাপদ কার্যকারী। এবং অতি শীঘ্রই এই টুপিটির ব্যাবহার তারা শুরু করবে। তবে তারা এই টুপিটির একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা উল্ল্যেখ করে। টুপিটি অত্যধিক ঠান্ডা হওয়াতে অনেক রোগীই এটি পড়তে অনিচ্ছা পোষন করেছে। তবে তারা আশাবাদী এই সমস্যাটির দ্রুত সমাধান করা সম্ভব।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: August 06, 2013