বাসা, অফিস, কল-কারখানা এবং বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে আগুন লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এসব জায়গায় আগুনের হাত থেকে বাঁচতে পূর্বপ্রস্তুতি থাকা দরকার। যদি পূর্বপরিকল্পনা থাকে, তবে সহজেই নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে জীবন বাঁচানো যায়। তাছাড়া আগুন নেভানোর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও কিনে রাখা উচিত। আগুন নেভাতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির মূল্য খুব একটা বেশি না। যদি আগে থেকে সচেতন থাকা যায় এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি হাত এর নাগালে রাখা হয় তাহলে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এর জন্য কিছু যন্ত্রপাতির নাম এবং কাজ নিচে দেওয়া হল:
ফায়ার সেফটির বিভিন্ন যন্ত্রের বর্তমান মূল্য দেখুন
ফায়ার এক্সটিংগুইসার
আগুন নেভাতে বহুল ব্যবহারিত এবং পরিচিত নাম। এর ব্যবহার মোটামুটি অনেকেই জানে। ফায়ার এক্সটিংগুইশার এর ব্যবহার খুব সহজ। ড্রাই-কেমিক্যাল-পাউডার, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও কেমিক্যাল ফোম এই তিন প্রকার ফায়ার এক্সটিংগুইসার পাওয়া যায়। অগ্নি কান্ডের ধরন বুঝে এটি ব্যবহার করতে হয়। অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রটি নির্ধারিত স্থান থেকে ক্যারি হ্যান্ডেল ধরে আগুনের কাছে যেয়ে সেফটি লক ও সেফটি পিন টান দিয়ে খুলে বাতাসের অনুকুলে দাড়িয়ে, বাম হাত দিয়ে ডিসচার্জ পাইপের নলটি আগুনের উৎসের দিকে টার্গেট করতে হয়। ডান হাত দিয়ে ক্যারি হ্যান্ডেল ধরে নলটি আগুনের উৎসের দিকে তাক করে অপারেটিং লিভার চাপ দিয়ে পাইপের নলটি সুইপ করিয়ে আগুন নিভাতে হয়।ধরন অনুযায়ী এর মূল্য ৮০০ থেকে ১৩০০০ টাকা পর্যন্ত।
ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রের বর্তমান মূল্য দেখুন
ফায়ার অ্যালার্ম
ফায়ার অ্যালার্ম অগ্নিকান্ড রোধ করতে বা আগুন নেভাতে না পারলেও অন্তত সতর্ককারী সাইরেন বাজিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে পারে। ফায়ার অ্যালার্মে একটি ফায়ার অ্যালার্ম সার্কিট ব্যবহার করা হয়। ফায়ার অ্যালার্ম সার্কিটের ফায়ার সেন্সর হিসেবে ব্যবহার হয় থার্মিস্টর। থার্মিস্টর হচ্ছে এমন একটি রেজিস্টর যার রেজিস্টেন্স তাপমাত্রার সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। আগুনের উপস্থিতি বুঝে ফায়ার অ্যালার্মে নিজে থেকে একটি সতর্ক সাইরেন বেজে উঠে যা থেকে আগুন সম্পর্কে সতর্ক হওয়া যায়। ফায়ার অ্যালার্মের ধরন অনুযায়ী এর মূল্য বিভিন্ন রকম, সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে এর দাম শুরু।
ফায়ার অ্যালার্মের মূল্য দেখুন
আগুন নেভানোর বোমা
দেখতে অনেকটা বলের মতো। ওজন এক কেজি তিনশ গ্রাম। এই বলটিকে ফায়ার ইনস্টিংগুয়েসার বল বলা হয়। কোথাও আগুন লাগলে এই বলটি ছুড়ে মারা হলে তিন সেকেন্ডের মধ্যে বিকট শব্দে ফুটবে এটি এবং বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে নিমিষেই আগুন নিভে যাবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ফায়ার ইনস্টিংগুয়েসার বল ব্যবহার করা হয় যা এখন বাংলাদেশেও পাওয়া যায়।
ফায়ার বাকেট
ফায়ার বাকেট পানি বা বালি ভরা একটি বালতি যা আগুন প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ফায়ার বাকেট উজ্জ্বল লাল রঙের হয়। ফায়ার বাকেট খুব স্বল্পমুল্লে পাওয়া যায় যা বাসাবাড়ি বা কল-কারখানাতে রাখা যেতে পারে।
ফায়ার বাকেটের মূল্য দেখুন
ফায়ার ল্যাডার
ফায়ার ল্যাডার দ্রুত এবং নিরাপদে আগুন থেকে পালাবার জন্য ব্যবহার করা হয়। বহুতল ভবন, অফিস অথবা গার্মেন্টস এ আগুন লাগলে দ্রুত এবং নিরাপদে নামার জন্য ফায়ার ল্যাডার ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফায়ার ল্যাডার এর মূল্য দেখুন
ফায়ার ফাস্ট এইড
আগুন লাগলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফায়ার ফাস্ট এইড রাখা যেতে পারে। বাসাবাড়ি অথবা অফিসে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফায়ার ফাস্ট এইড খুব উপকারি।
ফায়ার ফাস্ট এইড এর মূল্য দেখুন
ফায়ার এক্সেসরিস
বিভিন্ন ফায়ার এক্সেসরিস যেমন-ফায়ার ডোর লক, ফায়ার অ্যাক্স, ফায়ার ব্লাঙ্কেট, ফায়ার সেফটি স্যুট, ফায়ার গ্লাভস, ফায়ার মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এগুলো খুব উপকারী এবং কম মুল্লে কিনতে পাওয়া যায়।
ফায়ার এক্সেসরিস এর মূল্য দেখুন
আগুন প্রতিরোধকারী বিভিন্ন যন্ত্রপাতির বর্তমান মূল্য দেখুন
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: February 24, 2019