bdstall.com

ল্যাপটপ এর দাম ২০২৫

বাংলাদেশে সর্বনিম্ন ল্যাপটপের মূল্য ১০,০০০ টাকা যা স্কুল ছাত্রদের জন্য ভাল এবং ২০,০০০ টাকার কম ল্যাপটপ সাধারণ কাজের জন্য চলে এবং বিডিতে ভাল মানের ল্যাপটপের দাম সাধারণত আপনার বাজেট এবং প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে যা ২০০,০০০ টাকা পর্যন্তহ হতে পারে। Read more

আইটেম ১-৪০ এর ৯৫৯
বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপ এর দাম

ল্যাপটপ কেনাকাটা

ল্যাপটপ কম্পিউটার এখন নিত্য দিনের সঙ্গী। ল্যাপটপ  এর দাম এখন আগের তুলনায় অনেক কম।

বাংলাদেশে কোন ধরণের ল্যাপটপ সবচেয়ে ভাল ?

আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেটের উপর ভিত্তি করে ল্যাপটপ কিনুন। বর্তমানে বাংলাদেশে ল্যাপটপের দাম আগের তুলনায় তুলনামূলক কম। নীচে কিছু ল্যাপটপ টাইপ দেওয়া হল-

স্টুডেন্ট ল্যাপটপঃ স্টুডেন্ট ল্যাপটপে কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যার থাকে কিন্তু অনলাইন ক্লাস, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও চ্যাট এবং কনফারেন্স, ই-বই পড়া এবং অফিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ক্লাস অ্যাসাইনমেন্টের জন্য ভাল কাজ করে। বিডিতে শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপের দাম সাধারণত কম তাই সবার জন্য সাশ্রয়ী।

প্রোফেশনাল ল্যাপটপঃ বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশন দ্রুত চালানোর জন্য পেশাদার বা প্রোফেশনাল ল্যাপটপ সাধারণত উচ্চ কনফিগারেশনের হয় এবং কোর আই-৯ এবং এসএসডি অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।

বিজনেস সিরিজ ল্যাপটপঃ বিজনেস সিরিজ ল্যাপটপ অথবা আলট্রাবুক হালকা ও পাতলা এবং কোর আই ৭ প্রসেসর, এবং দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ সহ আসে। আলট্রাবুক ব্যবসায়িক সিরিজ ল্যাপটপের একটি উদাহরণ।

ফ্রিল্যান্সার ল্যাপটপঃ ফ্রিল্যান্সার ল্যাপটপ ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরণের উপর নির্ভর করবে। যদি ভারী অ্যাপ্লিকেশন চালাতে হয় তবে ভাল একটি ল্যাপটপের প্রয়োজন। লাইটওয়েট কাজের জন্য, কম শক্তিশালী মেশিন কেনা যেতে পারে।

গেমিং ল্যাপটপঃ গেমিং ল্যাপটপের জন্য অনেক শক্তিশালী হার্ডওয়্যার প্রয়োজন এবং কোর আই-৭ বা আই-৯ ভিত্তিক প্রসেসর প্রস্তাবিত। আপনি যদি প্রচুর গেম খেলেন বা গ্রাফিক্স সংক্রান্ত কাজ করেন তাহলে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড সহ গেমিং ল্যাপটপ প্রয়োজন।

ব্যবহৃত ল্যাপটপঃ আপনার যদি কম বাজেট থাকে তবে আপনি কম শক্তিশালী মেশিন না কিনে ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, আপনি একটি উচ্চ গতির ল্যাপটপ পাবেন। তবে, ব্র্যান্ড নিউ ল্যাপটপ অনেক বছর ধরে ভাল সার্ভিস দিবে এবং সাথে পার্টসের ওয়ারেন্টি থাকে।

ছোট ল্যাপটপঃ ভ্রমণের জন্য বা সহজে বহন করার জন্য, পোর্টেবল বা ছোট ল্যাপটপ আদর্শ যা সাধারণত ১২ ইঞ্চি বা তার চেয়ে কম হয় যেটি ব্যাগের ভিতরে সহজে রাখা যায়।

বাংলাদেশে ল্যাপটপের দাম কত?

বাংলাদেশে ল্যাপটপের দাম ৪০,০০০ টাকা থেকে শুরু হয় যেটিতে সর্বশেষ জেনারেশনের প্রসেসর আছে এবং এগুলো নতুন এবং অক্ষত। মনে রাখবেন ল্যাপটপের দাম সাধারণত প্রসেসর এর জেনারেশন, মেমরির পরিমাণ, জিপিইউ এবং বডি ডিজাইনের উপর নির্ভর করে। তবে বাংলাদেশে মূলত প্রসেসরের উপর ভিত্তি করে ল্যাপটপের দাম নির্ধারণ হয় তাই কেনার আগে দাম তুলনা করে কিনুন। বাংলাদেশের কোর আই৩ ল্যাপটপ এর তালিকা দেখে নিতে পারেন এবং এগুলো দিয়ে সাধারণ সব কাজ অনায়াসে করা যায় আর দামের দিকে খুব সাশ্রয়ী। তবে একটু বাজেট বাড়িয়ে কোর আই৫ ল্যাপটপ নিতে পারেন এবং সবার জন্য সব কাজের উপযুক্ত। বাংলাদেশে কোর আই৭ ল্যাপটপ এর দাম সর্বাধিক হলেও এখন দাম অনেক কমে গিয়েছে এবং বাজেট যায় হোক এটির যেকোন জেনারেশন কিনতে পারলে সব ধরনের কাজ অনায়াসেই করা যাবে।

১০,০০০ টাকার নিচে ল্যাপটপ

১০,০০০ টাকার নিচে ল্যাপটপ হল সর্বনিম্ন দামের ল্যাপটপ এবং সাধারণত ব্যবহৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই বাজেটের ল্যাপটপ সাধারণত ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেল চেকিং এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মত কাজের জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে। তবে, এই ল্যাপটপে কম র‍্যাম এবং স্টোরেজ এর মত সীমিত স্পেসিফিকেশন সরবারহ করে, যা দিয়ে মাল্টিটাস্কিং বা ভারী অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায় না বললেই চলে। আপনি যদি এই বাজেটে কিংবা সবচেয়ে সস্তা দামে ল্যাপটপ কিনতে চান, তাহলে রিফারবিশড কিংবা সেকেন্ড হ্যান্ড বা ব্যবহৃত কন্ডিশনের ল্যাপটপ বিবেচনা করতে পারেন, যা কিছুটা ভালো পারফরম্যান্স প্রদান করবে।

২০,০০০ টাকার নিচে ল্যাপটপ

এই বাজেটের মধ্যে আপনি এন্ট্রি-লেভেল ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন,  যা শিক্ষার্থী এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ। ২০,০০০ টাকা দামের নিচে ল্যাপটপে সাধারণত ৪ জিবি র‍্যাম এবং এইচডিডি হার্ড ড্রাইভ সরবারহ করে থাকে, যা দিয়ে আপনি মৌলিক কম্পিউটিং কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া, এইচপি এবং লেনোভোর মতো ব্র্যান্ড সাধারণত এই বাজেটে ল্যাপটপ সরবারহ করে থাকে, যা দাম এবং পারফরম্যান্সের মধ্যে ভালো ভারসাম্য প্রদান করে। যদিও এই বাজেটের ল্যাপটপ বেশ ভালো কনফিগারেশন সরবারহ করে না, তবে আপনার দৈনন্দিন কাজ যেমন ডাটা এন্ট্রি, প্রেজেন্টেশন, মাল্টিমিডিয়ার মত কাজ কার্যকরভাবে করতে পারবেন।

৩০,০০০ টাকার নিচে ল্যাপটপ

৩০,০০০ টাকা দামের নিচে ল্যাপটপ পারফরম্যান্সের দিক থেকে এন্ট্রি লেভেল ল্যাপটপ এর তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে। এই বাজেটের অনেক মডেলে ইন্টেল কোর আই৩ প্রসেসর এবং ৮ জিবি র‍্যাম রয়েছে। তাছাড়া, দৈনন্দিন কাজ, পড়াশোনা বা হালকা গেমিংয়ের জন্য যাদের নির্ভরযোগ্য ল্যাপটপ প্রয়োজন, তাদের জন্য ৩০,০০০ টাকা দামের নিচে ল্যাপটপ উত্তম। এই ল্যাপটপ বেশ ভালো বিল্ড কোয়ালিটি এবং স্টোরেজ বিকল্প হিসেবে এসএসডি সরবারহ করে থাকে, যা পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে আর গতিশীল হয় এবং ভালো রেসপন্স প্রদান করে।

৪০,০০০ টাকার নিচে ল্যাপটপ

পেশাদার এবং ব্যক্তিগত উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এই বাজেটের ল্যাপটপ আকর্ষণীয় স্পেসিফিকেশন দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। এই ল্যাপটপে সাধারণত ইন্টেল কোর আই৫ প্রসেসর, ৮ জিবি থেকে ১৬ জিবি র‍্যাম এবং এসএসডি স্টোরেজ রয়েছে। যার ফলে এই ল্যাপটপ দিয়ে ইচ্ছানুযায়ী প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারবেন। ফটো এডিটিং, প্রোগ্রামিং বা হালকা গেমিংয়ের মতো কাজের জন্য ৪০,০০০ টাকা বাজেটের ল্যাপটপ ই সেরা। কারণ এই বাজেটের ল্যপাটপ দাম অনুযায়ী আপনাকে বেশ ভালো ভারসাম্য প্রদান করবে।

৫০,০০০ টাকার নিচে ল্যাপটপ

৫০,০০০ টাকার নিচে ল্যাপটপ সাধারনত উচ্চ স্পেসিফিকেশন সরবারহ করে, বিশেষ করে ইন্টেল কোর আই৫ বা রাইজেন ৫ প্রসেসর, ১৬ জিবি র‍্যাম এবং বেশি ক্যাপাসিটির এসএসডি সরবারহ করে থাকে। এই বাজেটের ল্যাপটপ  গেমার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য উপযুক্ত। কারন এই ল্যাপটপ দিয়ে  মাল্টিটাস্কিং করার পাশাপাশি রিসোর্স-ইনটেনসিভ অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায়। এছাড়াও, এই বাজেটে ল্যাপটপ আপনাকে দক্ষতার সাথে বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।

১ লক্ষ টাকার ল্যাপটপ

১০০,০০০ টাকার কম বা বেশি বাজেটের মধ্যে আপনি হাই-পারফরম্যান্স মডেলের ল্যাপটপ পাবেন। এই ল্যাপটপ গেমার এবং প্রফেশনাল উভয়ের জন্য উপযুক্ত। তাছাড়া, এই বাজেটের ল্যাপটপ প্রায়শই নতুন কন্ডিশন, সর্বশেষ প্রসেসর, ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড এবং পর্যাপ্ত র‍্যাম সরবারহ করে থাকে। আপনি এই কনফিগারেশনের ল্যাপটপ দিয়ে ভারী এপ্লিকেশন ব্যবহার করার পাশাপাশি ইচ্ছানুযায়ী গেমিং করতে পারবেন। এছাড়াও, ৪কে ডিসপ্লে এবং উন্নত কুলিং সিস্টেম রয়েছে, যা দীর্ঘসময় নিশ্চিতে ও আরামদায়ক ভাবে গেমিং করতে সহায়তা করে। এই বাজেটের মধ্যে সেরা ল্যাপটপ নেওয়ার জন্য আপনার চাহিদা এবং বাজেট নির্দিষ্ট করতে হবে।

ল্যাপটপের জন্য কোন ওএস সেরা?

উভয় ওএস ল্যাপটপের জন্য খুব ভাল তবে তারা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে চলে। উইন্ডোজ ল্যাপটপ দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য খুবই জনপ্রিয় এবং অ্যাপল ম্যাক গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং পেশাদারদের মধ্যে জনপ্রিয়। কিছু ল্যাপটপে লাইসেন্সযুক্ত উইন্ডোজ সঙ্গে আসে। লিনাক্স উইন্ডোজের সাথে ইনস্টল করা যেতে পারে এবং এটি বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

আমি কি ল্যাপটপ হার্ডডিস্ক আপগ্রেড করতে পারি ?

হ্যাঁ, আপনি আপনার ল্যাপটপ এর হার্ডডিস্ক আপগ্রেড করতে পারবেন। এছাড়াও, কিছু ল্যাপটপে এসএসডি স্লট থাকে যাতে আপনি একটি এসএসডি ড্রাইভ ইনস্টল করতে পারেন যা প্রথাগত এইচডিডি থেকে ১০ গুণ বেশি দ্রুত। আপনি একই সাথে উভয় স্টোরেজ রাখতে পারেন।

ল্যাপটপের গ্রাফিক্স কার্ড কি আপগ্রেড করতে পারি ?

আপনি আপনার ল্যাপটপের গ্রাফিক্স কার্ড আপগ্রেড করতে পারবেন না। সুতরাং, আপনি যদি গেমার বা ডিজাইনার হন তবে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড অবশ্যই কিনবেন। শেয়ারড গ্রাফিক্স কার্ড ভিডিও দেখা, ইন্টারনেট ব্রাউজ, সাধারণ গেমিং এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য উপযুক্ত। সুতরাং, আপনি যদি গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজ করতে চান তবে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন এবং জিপিইউ-এর দাম কমার কারণে বিডিতে এই ল্যাপটপের দাম সাধারণত প্রচলিত ল্যাপটপের চেয়ে বেশি নয়।

আমি কি আমার ল্যাপটপের র‍্যাম আপগ্রেড করতে পারি?

হ্যাঁ, আপনি আপনার ল্যাপটপের রেম আপগ্রেড করতে পারেন। শুধু চেক করুন, মোট কত র‍্যাম যোগ করা যাবে।

কোন ল্যাপটপ ব্র্যান্ড সেরা?

এনভি, এলিট, স্পেকটার, ক্রোমবুক, ওমান এবং জেডবুক স্টুডিও সিরিজের জন্য এইচপি ল্যাপটপ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড

ডেল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের আছে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, এবং দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ।

তোশিবা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ব্র্যান্ড। কম দাম এবং দুর্দান্ত সেবার জন্য তোশিবা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ল্যাপটপ ব্র্যান্ড

আসুস হল আরেকটি ল্যাপটপ ব্র্যান্ড যা এর সাবলীল ডিজাইন এবং দুর্দান্ত সাপোর্ট সার্ভিসের জন্য বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রথম পছন্দ।

অন্যান্য সমস্ত ব্র্যান্ডের ল্যাপটপগুলি খুব ভাল এবং বর্তমানে লেনোভো, এসার এবং সনি বাংলাদেশে পাওয়া যায়।

বিডিস্টল ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়?

ল্যাপটপ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট এবং সারা বাংলাদেশে কম টাকায় পাওয়া যায়।

ল্যাপটপ কেনার আগে আর কি অতিরিক্ত ফিচার দেখা উচিত?

ল্যাপটপ কেনার আগে শুধু প্রসেসর নয়, সাথে অনেক ছোট খাট বিষয় নজরে থাকা উচিত ফলে আপনি বাংলাদেশে কম বাজেটে ভাল ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।

স্ক্রিনের আকারঃ ১৪ ইঞ্চি ল্যাপটপ বেশিরভাগ লোকের জন্য সবচেয়ে ভাল কাজ করে কারণ এটিতে কাজ করা বেশ সুবিধাজনক ও সবার জন্য বহন করা সহজ। বাংলাদেশে ১৪ ইঞ্চি ল্যাপটপের দাম ১৫,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকা এবং এটি নতুন বা ব্যবহৃত হওয়ার মত অবস্থার উপর নির্ভর করে। অনেকে আরও বড় স্ক্রীন পছন্দ করে তাদের জন্য ১৫ ইঞ্চি ল্যাপটপ যথেষ্ট। ১৫ ইঞ্চি ল্যাপটপের জন্য বাজেটে মাত্র ৫,০০০ টাকা বেশি যোগ করুন। ১৭-ইঞ্চির মতো বড় স্ক্রীনের ল্যাপটপের পাওয়া যায় তবে বাংলাদেশে বেশি প্রচলিত নয় তাই আপনি বিডি স্টলে অনুসন্ধান করতে পারেন।

স্ক্রিন রেজোলিউশনঃ ল্যাপটপ কেনার সময় আমরা সাধারণত অন্যান্য জিনিসের দিকে তাকাই কিন্তু রেজোলিউশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বেশিরভাগ ল্যাপটপ এইচডি রেজোলিউশনের হয তবে ফুল এইচডি রেজোলিউশন বেশি ভাল হবে। এটি চোখের পাশাপাশি পেশাদার গ্রাফিক্স কাজের জন্যও ভাল। কিছু নতুন প্রকাশিত মডেল যা সাধারণত ব্যবসায়িক সিরিজের হয় সেগুলোতে 4K রেজোলিউশন থাকে। তবে 4K রেজোলিউশনেই ল্যাপটপের বাংলাদেশে ১ লক্ষ্য টাকার উপর পরবে এবং এটি খুব হালকা হবে যাতে সহজেই বহন করা যায়।

কুলিংঃ নির্বাচিত ল্যাপটপটি গরম হয় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন তাহলে অতিরিক্ত কুলারের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মাসই গরম থাকে। তাই এমন একটি ল্যাপটপ খুজুন যেটি সহজে গরম না হয়ে অনেক ঘন্টা চলতে পারে। ফলে এই ল্যাপটপ দিয়ে আপনার কোলে বা যেকোনো জায়গায় কাজ করার জন্য আদর্শ।

ব্যাটারি লাইফঃ ব্যাটারি লাইফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যদিও এটি সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় এবং দাম সাধারণত সস্তা। তবে কতক্ষণ ব্যাকআপ দিতে পারে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আপনি যদি ঘন ঘন ভ্রমণকারী হন তবে ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাকআপ হল ২.৫ ঘন্টা থেকে ৩ ঘন্টা। ব্যবসায়িক সিরিজের জন্য ল্যাপটপের ব্যাকআপ ৭ থেকে ১০ ঘন্টার মতো। মিনি ল্যাপটপও একই ধরনের ব্যাকআপ প্রদান করে।

২-ইন-১ ল্যাপটপঃ কিছু ল্যাপটপে ফ্লিপ করার সুবিধা থাকে তাই এটি একটি ট্যাবলেটে পরিণত হয়। যদি ট্যাবলেট খুব পছন্দ করেন তবে এই ধরণের ল্যাপটপ বেছে নিতে পারেন। সাধারণত এই ধরনের ল্যাপটপের দাম বেশি হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশে আগের কিছু মডেল কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।

টাচ স্ক্রিনঃ টাচ স্ক্রিনও একটি দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য এবং সাধারণত ২-ইন-১ ল্যাপটপের সাথে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। তবে কিছু স্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপেও আরও বেশি সুবিধা প্রদানের জন্য টাচ স্ক্রিন সহ আসে। মনে রাখবেন একই মডেল দুটি ভিন্নতার সাথে আসতে পারে যেমন টাচ স্ক্রিন এবং নন-টাচ স্ক্রীন।

কীবোর্ডঃ ল্যাপটপে ভালো কীবোর্ড অপরিহার্য, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও প্রোগ্রামার যেখানে প্রতিদিন প্রচুর টাইপ করতে হয়। কিবোর্ড মসৃণ হলে আপনার আঙুলে উপর কম চাপ সৃষ্টি করবে। উপরন্তু পানিরোধী কীবোর্ড আদর্শ কারণ অসাবধানতাবশত যদি কীবোর্ডে কোনো তরল পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে তবে এটি তরলকে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেবে। আপনার যদি ঘন ঘন রাতে কাজ করার প্রয়োজন হয় তবে ব্যাকলিট কীবোর্ড আপনাকে সহজেই কীগুলি সনাক্ত করতে সহায়তা করবে।

কানেক্টিভিটিঃ ইউএসবি পোর্ট, এইচডিএমআই পোর্টের সংখ্যা দেখুন এবং এগুলো আপনাকে একাধিক ডিভাইস একসাথে কানেক্ট করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, যদি ল্যাপটপে ওয়াইফাই 6 থাকে তবে এটি আপনাকে একটি বুস্ট দেবে কারণ এটি পরবর্তী প্রজন্মের ওয়্যারলেস সংযোগ। একটি সমন্বিত ব্লুটুথ অনেক উপায়ে সাহায্য করবে। কিছু ল্যাপটপ মডেলর সাথে 3G / 4G থাকে যা একটি সিম কার্ড ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ করতে সাহায্য করবে। সেক্ষেত্রে রাউটারের প্রয়োজ পড়বে না।

ড্রাইভঃ যদি ডিজিটাল ডিভাইস থেকে ডিজিটাল ডেটা অ্যাক্সেস করতে হয় তবে একটি সমন্বিত ড্রাইভ কাজকে সহজ করবে। কিন্তু ল্যাপটপের ওজন ড্রাইভসহ একটু বেশি হবে। সুতরাং, যদি এটি কম ব্যবহার করেন তবে এটি ছাড়াই কিনুন এবং প্রয়োজনে একটি এক্সটার্নাল ড্রাইভ যুক্ত করুন।

বাংলাদেশের সেরা ল্যাপটপ এর মূল্য তালিকা March, 2025

2024 & March, 2025-এর বাংলাদেশের সেরা ল্যাপটপ এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের ল্যাপটপ ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা ল্যাপটপ এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

ল্যাপটপ মডেল বাংলাদেশে দাম
HP Elitebook 840 G7 Core i5 10th Gen Laptop ৳ ৩৬,০০০
HP EliteBook 840 G3 Core i5 6th Gen 8GB RAM Laptop ৳ ১৮,০০০
HP EliteBook 840 G8 Core i5 11th Gen 16GB RAM ৳ ৩৯,৯৯৯
HP EliteBook 840 G5 ৳ ২৫,৫০০
HP EliteBook 845 G7 Ryzen 5 Pro 4650U 16GB RAM ৳ ৩৩,৫০০
Dell Latitude 7490 Core i5 8th Gen Laptop ৳ ২৩,০০০
Dell Latitude 7400 Core i5 8th Gen 14" Touch Laptop ৳ ২৮,০০০
HP Elitebook 850 G5 Core i5 8th Gen Laptop ৳ ৩০,৫০০
Lenovo ThinkPad X1 Carbon Core i7 8th 16GB RAM ৳ ৩৫,২০০
HP EliteBook 845 G8 Ryzen 5 Pro 5650U 256GB SSD ৳ ৩৬,৮০০