কম্পিউটার এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস আসার পর সাদা কাগজে লিখা কিংবা আঁকার প্রচলন এখন অনেকটাই বিলীন প্রায়। তবে এর মাঝেই অনেকেরই মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় সাদা কাগজে কিছু লিখতে কিংবা আঁকতে। এবার রিমার্কেবল ই-ইঙ্ক ট্যাবলেটের সাহায্যে আপনি এই কাজটিই করতে পারবেন ইলেক্ট্রনিক পর্দায়। ১০.১ x ৬.৯ x ০.২৬ সাইজের ৩৫০ গ্রাম ওজনের এই ট্যাবলেটটিতে আপনি ৮ x ১১ ইঞ্চির একটি ইলেক্ট্রনিক পেপারে লিখালিখি কিংবা আঁকাআঁকির কাজতি সেরে ফেলতে পারবেন।
ই-ইঙ্ক ট্যাবলেটটির একটি বিশেষ ফিচার হল যখন এর সামনে অন্য কোন লাইট সোর্স থাকে যেমন দিনের আলো কিংবা টেবিল লাম্প, তখন এর পিগমেন্ট নির্ভর টেকনোলোজিতে কোন ব্যাকলাইটের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ সম্পূর্ণ ন্যাচারাল আলোতেই তখন আপনি এই ট্যাবলেটে কাজ করতে পারবেন। একবার চার্জ দিয়ে ডিভাইসটিকে প্রায় এক সপ্তাহ ব্যবহার করা যাবে।
সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অন্যান্য কোম্পানিগুলো যেমন অ্যাপল কিংবা মাইক্রোসফট তাদের আইপ্যাড এবং সারফেস ডিভাইসগুলোকে যথেষ্ট উন্নত করেছে স্টাইলাস যুক্ত করে কিংবা প্রেসার সেনসিটিভ এবং টিল্ট সেনসিটিভ লিখার ফিচারের মাধ্যমে। রিমার্কেবল ট্যাবলেটটির আছে ১০০ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইম যদিও এটি অ্যাপলের আইপ্যাড থেকে ২০ মিলিসেকেন্ড কম।
রিমার্কেবল ট্যাবলেটটি দেখতে অনেকটাই একটি পেইজের মতই মনে হবে। ১০.১ ইঞ্চির ডিসপ্লে সাদা বর্ডার দ্বারা আবৃত এবং ট্যাবলেটটির প্রায় পুরোটাই সাদা রঙের। একদম নিচের দিকে আছে তিনটি বর্গাকৃতির আকৃতির বাটন। ডান এবং বাম পাশের বাটনগুলো পাতা উল্টানোর জন্য এবং মাঝখানেরটি ব্যবহৃত হয় হোম বাটন হিসেবে। তবে বাটন গুলোতে কোন আইকন কিংবা মার্ক না থাকায় ট্যাবলেটের ডিসপ্লেটিকে একটি পেইজের মতই মনে হয়। এই বাটনগুলো ছাড়াও উপরে আরেক্তি সিলভার রঙের বাটন রয়েছে যেটি পাওয়ার এবং লক বাটন হিসেবে কাজ করে।
ট্যাবলেটের হোমস্ক্রিনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে - মাই ফাইল, ফাইল এবং পেইজ ম্যানেজমেন্ট ও থাম্বনাইল ডিসপ্লে। ডানপাশের মার্জিন থেকে আপনি নোটবুক, ডকুমেন্ট, ই-বুক কিংবা বুকমার্কে ঢুকতে পারবেন। উপরের মার্জিন থেকে নতুন ফোল্ডার, নোটবুক কিংবা কুইক শীট খোলা যাবে। ট্যাবলেটের সাথে একটি মার্কার পেন আছে যা দিয়ে আপনি লিখালিখি কিংবা আঁকাআঁকির কাজটি করতে পারবেন। এছাড়াও রেস্পন্সিভ টাচস্ক্রিন হওয়ার কারনে আপনি আপনার আঙুল ব্যবহার করেও কাজ করতে পারবেন।
ট্যাবলেটের ডিসপ্লে রেজুলেসন ১,৮৭২ x ১,৪০৪ যার সাথে আছে প্রতি ইঞ্চিতে ২২৬ পিক্সেল ডেনসিটি। এর ডিসপ্লে ২,০৪৮ ডিগ্রী প্রেসার সেনসিটিভ এবং ৫১২ ডিগ্রী টিল্ট সেনসিটিভ। বিল্ট-ইন মেমোরি ৮ গিগাবাইট যা প্রায় অসংখ্য পেইজ ধারন করতে পারবে। এছাড়াও ইন্টারনেটে কানেক্টেড হওয়ার জন্য আছে ওয়াই-ফাই সুবিধা।
গ্রাফিক্স ট্যাবলেটের বর্তমান মূল্য তালিকা
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: September 19, 2017