স্মার্টফোনে চার্জ না থাকলেও পাওয়ার ব্যাংকের সাহায্যে সহজেই ঘরে কিংবা বাইরে যেকোনো স্থানে ফোনের ব্যাটারি রিচার্জ করা যায়। বর্তমানে পাওয়ার ব্যাংকের প্রচলন বেড়ে যাওয়ার কারনে বাজারে বিভিন্ন কোয়ালিটির পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্য থেকে সঠিক পাওয়ার ব্যাংকটি বেছে নিতে না পারলে সেটি আপনার কোন কাজেই আসবে না।
পাওয়ার ব্যাংকের বর্তমান মূল্য তালিকা।
ক্যাপাসিটিঃ পাওয়ার ব্যাংকের ব্যাটারির ক্যাপাসিটি যেন ফোনের ব্যাটারির ক্যাপাসিটি থেকে বেশি হয়। যেমন ধরুন একটি ফোনের ব্যাটারি যদি হয় ২,৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার তাহলে ১০,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের একটি পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে ফোনটিকে তিন থেকে চারবার রিচার্জ করা যাবে। তবে পাওয়ার ব্যাংকের ক্যাপাসিটির পুরোটাই যে আপনি আপনার ফোনে রিচার্জ করতে পারবেন তা নয়। পাওয়ার ব্যাংকের ব্যাটারিগুলো সাধারণত ৩.৭ ভোল্টের হয়ে থাকে। কিন্তু ইউএসবি পোর্টগুলো থাকে ৫ ভোল্ট স্ট্যান্ডার্ড। পাওয়ার ব্যাংকে একটি সার্কিট থাকে যা ব্যাটারির ৩.৭ ভোল্টকে ইউএসবি পোর্টের জন্য ৫ ভোল্টে রূপান্তর করে। এই ভোল্ট যখন পরিবর্তন হয় তখন একই সাথে মিলিঅ্যাম্পিয়ারও নতুন ভোল্টে কনভার্ট হয়ে যায়। যেখানে ক্যাপাসিটি কিছুটা কমে যায়। নিচের সমীকরণটি দেখুনঃ
আসল ৫ ভোল্ট মিলিঅ্যাম্পিয়ার = ৩.৭ x উল্লেখিত ক্যাপাসিটি / ৫
একটি ১০,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার পাওয়ার ব্যাংকের জন্য,
৩.৭ x ১০,০০০ / ৫ = ৭,৪০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার
সুতরাং ১০,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ক্যাপাসিটির ৩.৭ ভোল্টের একটি পাওয়ার ব্যাংক ৫ ভোল্ট ইউএসবি পোর্টে বাস্তবে ৭,৪০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার সাপ্লাই করতে পারে। অর্থাৎ ১০,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের একটি পাওয়ার ব্যাংক থেকে আপনি ৭,৪০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ক্যাপাসিটি ব্যাবহার করতে পারবেন।
সাইজঃ পাওয়ার ব্যাংকের সাইজে অনেক তারতম্য দেখা যায়। সহজে বহনযোগ্য এবং পকেটে রাখা যায় এমন সাইজের পাওয়ার ব্যাংক কেনার চেষ্টা করুন।
আউটপুটঃ পাওয়ার ব্যাংকে সাধারণত এক, দুই কিংবা তিনটি আউটপুট থাকে। একটি আউটপুট পোর্ট মানে একই সময়ে আপনি কেবল একটি ফোনই চার্জ দিতে পারবেন। কিন্তু দুই কিংবা তার অধিক পোর্ট থাকলে আপনি একই সময়ে একাধিক ফোন রিচার্জ করতে পারবেন।
সিকিউরিটিঃ ভালো মানের পাওয়ার ব্যাংকগুলোতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন রকম সিকিউরিটি ফিচার থাকে যেমন সর্টসার্কিট প্রটেকশন, ওভার ভোল্টেজ প্রটেকশন অথবা ওভার চারজিং প্রটেকশন। এই ফিচারগুলো পাওয়ার ব্যাংক দুর্ঘটনা থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
বিল্ট-ইন টর্চ এন্ড ক্যাবলঃ অনেক পাওয়ার ব্যাংকেই বিল্ট-ইন টর্চ দেয়া থাকে। যা অন্ধকারে পথ চলতে কিংবা লোডশেডিং এর সময় আলো দিবে। আর পাওয়ার ব্যাংকে যদি বিল্ট-ইন ক্যাবল থাকে তাহলে আপনাকে আর আলাদা ক্যাবল সাথে নিয়ে ঘুরতে হবেনা।
ব্র্যান্ডঃ সস্তায় পাওয়ার ব্যাংক না কিনে ভালো মানের ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক কিনুন। এতে করে আপনি পুরো ক্যাপাসিটি এবং কোয়ালিটি পাবেন। সস্তা মানের কম দামের পাওয়ার ব্যাংকগুলো অনেক সময় বিস্ফোরন কিংবা বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারন হয়ে দাড়ায়। কাজেই একটু বেশি দাম দিয়ে ভালো মানের ওয়ারেন্টিযুক্ত ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক কিনুন।
পাওয়ার ব্যাংকের বর্তমান মূল্য তালিকা।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: March 20, 2017