মিশরের ফেরাউন বংশের রাজা ফেরাউন ২য় এর মমি অলৌকিকভাবে সংরক্ষিত আছে। ফেরাউনের মমির বয়স প্রায় ৩০০০ বছর। ১৮৯৮ সালে লোহিত সাগরে জাবালিয়ান নামক স্থানে ফেরাউনের দেহটি প্রথম আবিষ্কার করা হয়। বর্তমানে দেহটি কায়রোর ইজিপশিয়ান জাদুঘরের রাজকীয় মমি চেম্বারে প্রদর্শিত আছে। দেহটি কোন বশ্য (বিশেষ ব্যবস্থায় মমি করা) ছাড়াই সংরক্ষিত আছে। দেহের ভিতরের কোন অঙ্গও অপসারণ করা হয়নি। মিশরের অন্যান্য মমিগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থায় মমি করার পরেও ফেরাউনের মমির মতো এত ভালভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। যদিও ফেরাউনের দেহটি ৩০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাগরে ছিল তবুও সাগরের মাছ দেহটির কোনও ক্ষতি করেনি। এতদিন সাগরে দেহ থাকলে খুব সহজেই তা মাছের খেয়ে ফেলার কথা কিন্তু তারা তা করেনি। ফেরাউন ছিল মিশরের বিখ্যাত ও নিষ্ঠুর রাজা। সে নিজেকে সৃষ্টিকর্তা বলে দাবি করেছিল। যারা তার পূজা করতোনা তাদেরকে সে নানাভাবে অত্যাচার করতো। এসকল মানুষকে নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচানো এবং সঠিক পথে আনার জন্য স্রষ্টা মুসা নবীকে পাঠিয়েছিলেন। ফেরাউন ও তার অনুসারীরা ভেবেছিলো যে মিশরের ঐতিহ্যগত ধর্ম পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা মুসা নবীর উদ্দেশ্য। ঐতিহ্যগত ধর্ম নানাভাবে ফেরাউনকে সুবিধা দিয়ে আসছিলো। তাই ফেরাউন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে অস্বীকার করে। ফলস্বরূপ আল্লাহ্ তার অনুসারীদের উপর নানা দুর্যোগ প্রদান করেন। তা সত্ত্বেও ফেরাউন নিজেকেই স্রষ্টা বলে দাবি করেছিলো। তাই আল্লাহ্ জলে ডুবিয়ে ফেরাউনের মৃত্যু ঘটিয়েছিলেন এবং ৩০০০ বছর ধরে দেহটি সংরক্ষণ করে আসছেন। এরকম ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: July 11, 2016