শিকার নিয়ে আগ্রহ অনেকেরই আছে। শিকার কাহিনী নিয়ে লেখা বই পড়তে অনেকেই ভালবাসেন। শিকারিদের নিয়ে আগ্রহও তাদের কম নয়। বাংলাদেশেও অনেক নামকরা শিকারি ছিলেন একসময়। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন পচাব্দি গাজী। অনেকে তাকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিকারিও বলে থাকেন। ১৯২৫ সালে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পচাব্দি গাজী। তাঁর পুরো নাম আব্দুল হামিদ গাজী। তাঁর পিতা মেহের আলি গাজীও একজন বিখ্যাত শিকারি ছিলেন। পচাব্দি গাজীর বাবা এবং দাদা দুজনেই বাঘের আক্রমনে নিহত হয়েছিলেন। কর্মজীবনে পচাব্দি গাজী বন বিভাগের একজন তালিকাভুক্ত শিকারি ছিলেন। তখনকার সময়ের পশ্চিম পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এবং চ্যাঞ্চেলরের সুন্দরবন দর্শনীয় স্থান সমূহ পরিদর্শনের গাইড হিসেবে কাজ করে পুরস্কৃত হন। কিছুদিন তিনি বনবিভাগের বোটম্যানের চাকরিও করেছিলেন। শিকারী জীবনে পচাব্দি গাজী মোট ৫৬টি বাঘ শিকার করেন যার ২৩টি ছিল মানুষখেকো বাঘ। তাঁর শিকার করা উল্লেখযোগ্য কিছু মানুষখেকো বাঘ হলঃ
- সুপতির মানুষখেকো বাঘ।
- গোলখালীর মানুষখেকো বাঘ।
- দুবলার চরের মানুষখেকো বাঘ।
- লক্ষীখালের মানুষখেকো বাঘ।
- আঠারোবেকীর মানুষখেকো বাঘ।
- তালপাটির মানুষখেকো বাঘ।
- লতাবেকী-ইলশামারীর বাঘ।
কিংবদন্তী এই বাঘ শিকারি ১৯৯৭ সালে স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যুবরণ করেন।
"সুন্দরবনের মানুষখেকো" বই থেকে সংগৃহীত কিছু ছবি নিচে দেওয়া হল।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: August 24, 2022