বাংলাদেশের বৃহত্তম মানবসৃষ্ট স্বাদুপানির লেক হচ্ছে কাপ্তাই লেক। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রাথমিকভাবে তৈরি করা হলেও বর্তমানে এটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ, কৃষি ও প্রচুর পরিমাণ মিঠা পানির মাছ উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। কাপ্তাই শহরের কাছে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের এই জলাধারটি তৈরি করা হয়। এইচ আকৃতির কাপ্তাই লেকটির ২টি দিক যা শুভলং এর কাছা কাছি একটি সংকীর্ণ ঘাট দ্বারা যোগসূত্র স্থাপন করেছে। লেকের ডান দিক কাসালং এবং বাঁ দিক রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই উভয়ই ২টি প্রবাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কাপ্তাই লেকের উপকূল ও অববাহিকা খুবই অনিয়মিত। লেকের আয়তন প্রায় ১১০০০ বর্গ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ ও নৌকা ভ্রমণের জন্য লেকটি খুবই উপযুক্ত। এটি একটি বিশাল লেক এবং এতে কিছু ছোট দ্বীপ রয়েছে। প্রতিটি দ্বীপের নিজস্ব নাম আছে যেমন ‘পেদা টিং টিং’, ‘টুক টুক ইকো ভিলেজ’, ‘ছাং পাং’ ইত্যাদি। ‘পেদা টিং টিং’ একটি ছোট দ্বীপ। এখানে থাকার মত কটেজ আছে এবং চাঁদনী রাত উপভোগের জন্য কল্পনাপ্রসূত লেকের দৃশ্য রয়েছে। ‘টুক টুক’ হচ্ছে একটি ইকো পার্ক যেখানে বিভিন্ন জাতের গাছ ও চারা আছে। ঝুলন্ত সেতু হচ্ছে ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু যা কাপ্তাই লেকের একটি অংশ জুরে গঠিত। মূলত এই সেতুটির জন্য রাঙ্গামাটি বিখ্যাত। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কাপ্তাই লেক পরিদর্শনে আসে।
অবস্থান
কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম
জলবায়ু
এই এলাকা পরিদর্শনের জন্য গ্রীষ্মকাল উপযুক্ত
কিভাবে যাবেন সেখানে
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের অনেক বাস সার্ভিস আছে। রাঙ্গামাটি পৌঁছে ওখান থেকে অটো রিকশার মাধ্যমে কাপ্তাই লেক বাঁ ঝুলন্ত সেতু পরিদর্শন করা যায়।
কোথায় থাকবেন
রাঙ্গামাটিতে থাকা-খাওয়ার মতো অনেক হোটেল আছে এবং এগুলো খুবই ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যায়।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: February 09, 2016