ঢাকার একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থল হল আহসান মঞ্জিল। এটা বাংলাদেশের অন্যতম অর্থপূর্ণ স্থাপত্য ঐতিহ্য। আহসান মঞ্জিল পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কুমারতলি এলাকায় অবস্থিত। এখানে আপনি প্রাচীন ঢাকার নবাবদের জীবনধারার অনুভূতি ভোগ করতে পারবেন। গোলাপি প্রাসাদটি আসলে ১৮৭২ সালে নওয়াব স্যার আবদুল গণি দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ১৮৮৮ সালে টর্নেডোর পর পুনঃনির্মিত হয়েছিল। এখন এটি একটি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে এই জাদুঘরটি পরিদর্শন করার সুযোগ আছে এবং এখানে আপনি কিছু ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস পাবেন। এখানে ২৩টি গ্যালারী আছে যা নবাবের ব্যবহৃত পোর্ট্রেট, আসবাবপত্র ও অন্যান্য বস্তু প্রদর্শন করছে। আহসান মঞ্জিলে ৩১টি কক্ষসহ একটি বিশাল গম্বুজ আছে যা প্রায় মাইল খানেক দূর থেকেও লক্ষ্য করা যায়। মূল ভবনের বাইরে ত্রি-তোরণবিশিষ্ট প্রবেশদ্বার দেখতেও অনেক সুন্দর। আহসান মঞ্জিলের অভ্যন্তরে পূর্ব ও পশ্চিম ২টি অংশ আছে। পূর্ব অংশে আছে বৈঠকখানা ও পাঠাগার এবং পশ্চিম অংশে আছে নাচঘর ও অন্যান্য আবাসিক কক্ষ। নিচতলায় দরবারগৃহ এবং ভোজন কক্ষ রয়েছে।
অবস্থান
কুমারতলি, ইসলামপুর, ঢাকা
বিখ্যাত কিসের জন্য
ঐতিহ্য ও জাদুঘর
কিভাবে যাবেন সেখানে
আপনি খুব সহজেই মতিঝিল থেকে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা খরচে রিকশা বা গণপরিবহনের মাধ্যমে আহসান মঞ্জিল দরশন করতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
ঢাকা শহরে আপনি অনেক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পাবেনা থাকা-খাওয়ার জন্য।
প্রবেশমূল্য
প্রাপ্তবয়স্ক - ৫ টাকা
শিশু (১২ বছরের নিছে) – ২ টাকা
বিদেশী – ৭৫ টাকা
সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশের দর্শক – ৫ টাকা
ছাত্র ও মানসিক/শারীরিক রোগী – বিনা টাকা (ছাত্রদের প্রাক-অনুমতি লাগবে)
খোলার সময়
- গ্রীষ্ম কাল এ (১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে খোলা হয় (শুক্রবার এ দুপুর ৩টায়)।
- শীত কাল এ (১ অক্টোবর থেকে ৩০ মার্চ) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে খোলা হয় (শুক্রবার এ দুপুর ২টা ৩০ এ)।
বন্ধের সময়
- গ্রীষ্ম কাল এ বিকাল ৫.৩০ এ বন্ধ হয় (শুক্রবার এ ৭.৩০)।
- শীত কাল এ বিকাল ৪.৩০ এ বন্ধ হয় (শুক্রবার এ ৭.৩০)।
ছুটির দিন
বৃহস্পতিবার
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: December 31, 2015