bdstall.com

একনজরে এন্ড্রয়েড

এন্ড্রয়েডঃ এন্ড্রয়েড হল মোবাইলের জন্য কিছু সফটওয়্যারের সম্মিলন যেখানে অপারেটিং সিস্টেম, মিডলওয়্যার এবং এপ্লিকেশন এক সাথে সাজানো থাকে। লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে এই মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমটি গুগল নির্মাণ করেছিল যা এখনও প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। এই অপারেটিং সিস্টেমটি প্রথম উন্মুক্ত হয় ২৩ সেপ্টেম্বর  ২০০৮ সালে। মুক্তির পর থেকে এই অপারেটিং সিস্টেমটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়তে থাকে। বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। 

এন্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারফেসঃ এন্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারফেস সরাসরি পরিচালনা করা হয় স্পর্শের মাধ্যমে। এছাড়াও আরও বিশেষ ধরনের কিছু ফিচার আছে যেমন সুইপিং, ট্যাপিং, পিঞ্চিং ইত্যাদি। কোন কিছু লেখার জন্য রয়েছে ভার্চুয়াল কি-বোর্ড। ব্যবহারকারীর বিশেষ সুবিধার জন্য হ্যাপটিক ফিডব্যাক ফিচারের মাধ্যমে কম্পন করে বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি বিষয়ে জানানো হয়। 




আপডেটঃ এন্ড্রয়েডের প্রধান আপডেটগুলো ছাড়া হয় ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে। বর্তমানের এর সর্বশেষ সংস্করন হল এন্ড্রয়েড ললিপপ ৫.০।













এন্ড্রয়েডে নিরাপত্তাঃ এন্ড্রয়েড ফোনের অ্যাপগুলো চলে স্যান্ডবক্সে। অর্থাৎ সিস্টেমের এমন এক অংশ যা অন্যান্য মূল অংশের প্রবেশাধিকার ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না। এই অনুমতি অ্যাপ ইনস্টল করার সময়ই ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নেয়া হয়। যেকোনো অ্যাপ ইনস্টল হওয়ার আগে গুগল প্লে স্টোর সকল অনুমতি দেখায় যেগুলো অ্যাপটি ব্যাবহার করতে পারে। যেমন আপনি একটি গেম ইন্সটল করতে চাচ্ছেন। গেমটির ভাইব্রেশন সুবিধাটি ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে অথবা ডাটা সংরক্ষন করা কিংবা ইন্টারনেট সংযোগ নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তখন গেমতি ইন্সটলের সময়ই সে আপনার কাছ থেকে এই অনুমতি নিয়ে নেবে।

গুগোল প্লে স্টোরঃ গুগোল প্লে স্টোর হল এন্ড্রয়েড ফোনগুলোর সফটওয়্যার বাজার। সকল এন্ড্রয়েড ফোনগুলোতেই আগে থেকে প্লে স্টোর নামে একটি অ্যাপ থাকে যা সফটওয়্যার ব্রাউজ এবং ডাউনলোড করার জন্য ব্যাবহার করা হয়। এই বাজারে   তৃতীয় পক্ষ দ্বারা তৈরী অ্যাপ ও পাওয়া যায়। ২০১২ সালে অক্টোবর মাসে গুগোলের তথ্যমতে প্রায় ৭,০০,০০০ এপ্লিকেশন এবং উইডগেট আছে প্লে স্টোরে। গুগল নিজেও অনেক প্রয়োজনীয় অ্যাপ বানিয়েছে এন্ড্রয়েডের জন্য। যেগুলো প্লে স্টোর এ পাওয়া যায়। যেমন গুগল ভয়েস, গুগল ম্যাপ, ফিন্যান্স, ম্যাপ এডিটর, প্লেসেস ডিরেক্টরি, গুগল ট্রান্সলেট ইত্যাদি। 
 
এন্ড্রয়েড ভার্সনঃ ইতোমধ্যে এই অপারেটিং সিস্টেমের বেশ অনেকগুলো ভার্সন মুক্তি দিয়ে দিয়েছে গুগল। নিচে এখন পর্যন্ত  মুক্তিপ্রাপ্ত এন্ড্রয়েড ভার্সনগুলোতে একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন।















এন্ড্রয়েড 1.0 এন্ড্রয়েড 1.0 প্রথম ভার্সন মুক্তি পেয়েছিল ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে। এন্ড্রয়েড মার্কেট, ওয়েব ব্রাউজার, গুগল ম্যাপ, সার্চ, কন্টাক্টসহ ইত্যাদি বিভিন্ন ফিচার নিয়ে মুক্তি পেয়েছিল ভার্সনটি।




এন্ড্রয়েড 1.1 এন্ড্রয়েড 1.1 ভার্সনটি মুক্তির তারিখ ফেব্রুয়ারি ৯, ২০০৯। ম্যাপ, ফোন কল এবং ম্যাসেজ অপশন ছাড়া নতুন করে তেমন কোন ফিচার যোগ হয়নি এই ভার্সনে। 




এন্ড্রয়েড 1.5 এন্ড্রয়েড কাপকেক ভার্সনটি মুক্তি পেয়েছিল ২৭ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে। তৃতীয় পক্ষের কিবোর্ড সাপোর্ট, উইডগেট, ভিডিও রেকর্ড এবং প্লে-ব্যাক, ওয়েব ব্রাউজারে কপি-পেস্ট ফিচার, অ্যানিমেটেড স্ক্রিন পরিবর্তন, ফোনবুকে ছবি যোগ করা, অটো স্ক্রিন ঘোরাসহ বেশ কিছু নতুন ফিচার নিয়ে মুক্তি পেয়েছিল এই কাপকেক ভার্সনটি।   

এন্ড্রয়েড 1.6 ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখে মুক্তি পায় এন্ড্রয়েড ডনাট ভার্সনটি। ওয়েব ব্রাউজারের বুকমার্কে এড করা, গ্যালারি এবং ক্যামেরা একত্র করা, দ্রুত ক্যামেরা অ্যাপ চালু করা, ডব্লিউভিজিএ স্ক্রিন রেজুলেসন সাপোর্ট করা ইত্যাদি বেশ কিছু ফিচার উন্নত করা হয় এই ভার্সনে।

   
এন্ড্রয়েড 2.0 - 2.1 এন্ড্রয়েড এক্লিয়ার মুক্তির তারিখ অক্টোবর ২৬, ২০০৯। ডিভাইসে একের অধিক ইমেইল এবং কন্টাক্ট এড করা, ব্লুটুথ ২.০ সাপোর্ট, ক্যামেরায় নতুন ফিচার যোগ, কিবোর্ডের স্পিড বৃদ্ধি এবং আধুনিক ডিকশনারি যোগ করা, লাইভ ওয়ালপেপারসহ আরও কিছু আকর্ষণীও ফিচার যোগ হয় এই ভার্সনটিতে।
   
এন্ড্রয়েড 2.2 - 2.2.3 এন্ড্রয়েড ফ্রয়ো মুক্তি পায় ২০ মে ২০১০ সালে। ইউএসবি এবং ওয়াই-ফাই কানেকশন উন্নত করা, প্লে স্টোর অ্যাপ আপডেট করা এবং অটো অ্যাপ আপডেট ফিচার যোগ করা, কিবোর্ডে দ্রুত ভাষা চেঞ্জ করা, নাম্বার এবং অক্ষর ভিত্তিক পাসওয়ার্ড যোগ করা, গ্যালারি উন্নত করাসহ বেশ কিছু আপডেট নিয়ে আসে এই ভার্সনটি।
  
এন্ড্রয়েড 2.3 - 2.3.7 ২০১০ সালের ডিসেম্বরের ৬ তারিখে এন্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেড মুক্তি পায়। এক্সট্রা-লারজ এবং রেজুলেসন সাপোর্ট, উন্নত কপি পেস্ট ফাংশন, নতুন অডিও এফেক্ট, ব্যাস বোস্ট সাউন্ড, নতুন ডাউনলোড ম্যানেজার, একের অধিক ক্যামেরা সাপোর্টসহ নতুন বেশ কিছু ফিচার যোগ হয় এন্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেডে।  

এন্ড্রয়েড 3.0 - 3.2.6 এন্ড্রয়েড হানিকম্ব মুক্তি পায় ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে। সিস্টেম / নোটিফিকেশন এবং একশন বার যুক্ত করা, মাল্টিটাস্কিং, নতুন কিবোর্ড যোগ, ব্রাউজারে একের অধিক ট্যাব যোগ করা, ক্যামেরায় জুম এবং ফোকাসসহ ইত্যাদি ফিচার নিয়ে মুক্তি পায় এন্ড্রয়েড হানিকম্ব।

এন্ড্রয়েড 4.0 - 4.0.4 এন্ড্রয়েড আইস ক্রিম সেন্ডউইচ রিলিজ হয় ১৮ অক্টোবর ২০১১ সালে। নতুন গ্যালারি, ফেস লক, সহজ ফোল্ডার ম্যানেজমেন্ট, কিবোর্ডে ভুল শুদ্ধকরণ ফিচার, ওয়াই-ফাই ডিরেক্ট, ফটো এডিটরসহ বেশ অনেকগুলো আপডেট নিয়ে মুক্তি পায় এই ভার্সন।  



এন্ড্রয়েড 4.1 - 4.3.1 এন্ড্রয়েড জেলি বিন মুক্তি পায় জুলাই মাসের ৯ তারিখে ২০১২ সালে। নোটিফিকেশন বার আপডেট, শর্টকাট এবং উইডগেট আপডেট, উন্নত ক্যামেরা অ্যাপ, মাল্টিচ্যানেল অডিও, ইউএসবি অডিও, লক স্ক্রিন উন্নতকরণসহ বেশকিছু নতুন জিনিস যোগ করা হয় এন্ড্রয়েড জেলি বিনে।

এন্ড্রয়েড 4.4 - 4.4.4 এন্ড্রয়েড কিটক্যাট মুক্তি পায় অক্টোবর ৩১, ২০১৩ সালে। ক্লক ফিচার উন্নতকরণ, অ্যাপ আক্সেস এ কড়া নিরাপত্তা, নতুন নোটিফিকেশন বার, নতুন গ্যালারি ইত্যাদি অনেক আপডেট করা হয় এন্ড্রয়েড কিটক্যাটে।



এন্ড্রয়েড 5.0 - 5.1.1 সর্বশেষ এন্ড্রয়েড ললিপপ মুক্তি পায় নভেম্বর ১২, ২০১৪ সালে। সহজ ইন্টারফেস, মেটেরিয়াল ডিজাইন, নতুন লক স্ক্রিন, নতুন নোটিফিকেশন ট্রে, কুইক সেটিং আক্সেস, ১৫টি নতুন ভাষাসহ আরও অনেকগুলো নতুন আপডেট নিয়ে মুক্তি পায় এন্ড্রয়েড ললিপপ।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: May 20, 2015
Reviews (0) Write a Review