এই পৃথিবীতে অসংখ্য ভয়ংকর প্রাণী আছে। এদের কারও কারও মূল অস্ত্র শক্তি অথবা বিষ। শিকারকে হয় শক্তি দিয়ে হিংস্র ভাবে মেরে ফেলে নয়তো বিষ দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। আজকে আপনাদের জানাবো পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণী সম্পর্কে যাদের বিষের কবলে একবার পড়লে বেঁচে ওঠা সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার।
বক্স জেলিফিশঃ প্রাণীটিকে দেখলে আপনার হাত দিয়ে ধরতে মন চাইবে। এতো সুন্দর একটি প্রাণীকে হয়তো হাত দিয়ে না ধরেও থাকতে পারবেন না। কিন্তু অপরূপ সুন্দর এই প্রাণীটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণী। প্রাণীটিকে Box of death বা মৃত্যুর বাক্স নামেও ডাকা হয়। লম্বা কর্ষিকা বিশিষ্ট প্রাণীটি নেমাটোসিস্ট ও বিষ বহন করে। এই প্রাণীটির বিষের প্রতিরোধক এখনও আবিস্কার হয়নি।পৃথিবীর সব মহাসাগরেই এই প্রাণীটির দেখা মিলে।
ব্লু রিংড অক্টোপাসঃ অত্যন্ত সুন্দর প্রাণীটিকে পৃথিবীর অন্যতম বিষাক্ত প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আকারে প্রাণীটি দেখতে একটি গলফ বলের মত। প্রাণীটির চমৎকার রুপে যদি আপনি বিমোহিত হন তাহলে সেটিই আপনার মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। কেননা এই প্রাণীটির বিষ একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট।
ডেথস্টেকারঃ ডেথস্টেকার প্রাণীটি একটি কাঁকড়া বিছে। এই প্রাণীটি একবার কোন মানুষকে হুল ফুটালে বিষ সরাসরি তার স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমন করে। অবশেষে অসহ্য যন্ত্রণা এবং মাংশপেশির প্রবল সংকোচনের মাধ্যমে মৃত্যু ঘটে। উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যে এই প্রাণীটির দেখা মিলে।
দ্য ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডারিংঃ পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত মাকড়সাটির নাম দ্য ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডারিং। দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলে এ মাকড়সাটির দেখা মিলে। ভীষণ আগ্রাসী এবং আক্রমণাত্মক এ মাকড়সাটির কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থান অবশ হওয়া শুরু করে। এমনকি আক্রান্ত প্রাণীটি মারাও যেতে পারে।
পয়জন ডার্ট ব্যাঙঃ ব্যাঙটির অসাধারন সৌন্দর্য নিঃসন্দেহে আপনাকে মোহিত করবে। আমাজন জঙ্গলে ব্যাঙগুলোর দেখা মিলে। লম্বায় সাধারণত এরা ২ ইঞ্চি হয়ে থাকে। স্থানীয় আদিবাসীরা তীরের ডগায় এই ব্যাঙের বিষ ব্যাবহার করে শিকার করে। এই ব্যাঙের মাত্র ২ মাইক্রোগ্রাম বিষ একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট।
এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: May 04, 2015